- আচ্ছা শুভ্র, তুমি কি আমি ছাড়া আর কোনো মেয়ের সাথে কথা বলো?
- আরেহ না, পাগল নাকি! কেন বলোতো?
- না এমনিই, বলো না প্লিজ
- তুমি থাকতে কেন আমি অন্যের পেছনে টাইম ওয়েস্ট করবো বলো তো? আমার কি খেয়ে আর কাজ নাই
- কিন্তু আমার কেন মনে হয় যে তুমি আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছ?
- ত্রপা,এটা তুমার ভুল। তুমি তো আমাকে অনেক ভালোবাস তাই এইসব মনে হচ্ছে গো
- আমাকে ছুঁয়ে বলো,আমার কসম?
- এইযে তোমাকে ছুয়ে বললাম....তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা?
- আমার নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি কিন্তু তাও জানিনা কেনো তোমাকে হারানোর এতো ভয় হয়!তুমি আমাকে ভুল বুঝনা প্লিজ
- হুম অনেক হয়েছে,এখন ঘুমোবে চলো।.....এটা মুখে বললেও মনে মনে শুভ্র ভাবলো ত্রপাকে বিয়ে করে নিজেই বুঝি নিজের বিপদ বাড়ালো-আমার জন্য মেয়েরা পাগল হবে,কথা বলতে চাইবে তাতে তোর কি?তুই তো তোর জায়গাতেই আছিস,নাকি!-ও এইসব ভাবছে আর ওইদিকে ত্রপা পরম শান্তি আর বিশ্বাসে ওর বুকে মাথা রেখেছে!!!
- আরেহ না, পাগল নাকি! কেন বলোতো?
- না এমনিই, বলো না প্লিজ
- তুমি থাকতে কেন আমি অন্যের পেছনে টাইম ওয়েস্ট করবো বলো তো? আমার কি খেয়ে আর কাজ নাই
- কিন্তু আমার কেন মনে হয় যে তুমি আমার কাছে কিছু লুকোচ্ছ?
- ত্রপা,এটা তুমার ভুল। তুমি তো আমাকে অনেক ভালোবাস তাই এইসব মনে হচ্ছে গো
- আমাকে ছুঁয়ে বলো,আমার কসম?
- এইযে তোমাকে ছুয়ে বললাম....তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা?
- আমার নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করি কিন্তু তাও জানিনা কেনো তোমাকে হারানোর এতো ভয় হয়!তুমি আমাকে ভুল বুঝনা প্লিজ
- হুম অনেক হয়েছে,এখন ঘুমোবে চলো।.....এটা মুখে বললেও মনে মনে শুভ্র ভাবলো ত্রপাকে বিয়ে করে নিজেই বুঝি নিজের বিপদ বাড়ালো-আমার জন্য মেয়েরা পাগল হবে,কথা বলতে চাইবে তাতে তোর কি?তুই তো তোর জায়গাতেই আছিস,নাকি!-ও এইসব ভাবছে আর ওইদিকে ত্রপা পরম শান্তি আর বিশ্বাসে ওর বুকে মাথা রেখেছে!!!
ত্রপা আর শুভ্রর প্রেমের বিয়ে। বিয়ের পর নাকি ভালোবাসাটা তেমন আর থাকেনা কিন্তু ত্রপা এটা মানতোনা,ও বিশ্বাস করতো যে ওর শুভ্র যেমন ছিলো তেমনই থাকবে আর ওকে একইরকম ভালোবাসবে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুভ্র অনেক কিছুই ত্রপাকে না জানিয়ে করতে লাগলো যা ত্রপা বুঝতে পারে! ও বুঝে যে ও ছারাও শুভ্র অন্য কারো সাথে কথা বলে,ওর গুরত্বটা শুভ্রর কাছে কমে যাচ্ছে। তারপর সেদিন শপিং থেকে ফেরার পথে দেখেছে একেবারে শুভ্রর মতো একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে রিকশা করে যাচ্ছে । তাই ওর মনে একটা খটকা লেগে আছে যার কারনে আজ এই কথাগুলো বলতে বাধ্য হলো কিন্তু ত্রপা চায়না শুভ্রকে কষ্ট দিতে।
উফ ও কষ্ট পায়নিতো!আমিও যে কি,যা মুখে আসে তাই বলে ফেলি-এইসব ভাবতে ভাবতে ত্রপা ঘুমিয়ে পরলো।
উফ ও কষ্ট পায়নিতো!আমিও যে কি,যা মুখে আসে তাই বলে ফেলি-এইসব ভাবতে ভাবতে ত্রপা ঘুমিয়ে পরলো।
অনেক ভোরে ত্রপার ঘুম ভাঙ্গে আর আজও ভাঙ্গলো। পাশে তাকিয়ে দেখে শুভ্র বাচ্চাদের মতো ঘুমোচেছ যেনো কতোদিন ঘুমোয়নি,কি মায়াবি চেহারা! ত্রপার খুব ইচ্ছে করে ওর মাথায় হাত দিয়ে ওর চুলগুলো এলোমেলো করে দিতে। তবু কেন যেনো হয়ে ওঠেনা। শুভ্র আগের মতো নেই বলে? না কি যদি ঘুমটা ভেঙ্গে যায় আর এই মায়াবি ভাবটাও চলে যায় যদি,তাই? জানে না ত্রপা আসলে.....
ত্রপা খুব নিঃশব্দে উঠে শুভ্রর জন্যে চা বানাতে যায়।ও এই একটা কাজ অনেক যত্ন নিয়ে,সময় নিয়ে করে। এই চা টাই শুভ্র বড্ড তৃপ্তি নিয়ে খায়।
-এই শুভ্র উঠো,কটা বাজে দেখছো?উঠো,এইইই
-ঘুমোতে দাও প্লিজ
-ঢং কইরো না,উঠো বলতেছি! চা ঠান্ডা হয়ে গেলো তো,এইইই
-উফ ঘুমাইতেও দিবা না শান্তিতে! চা রেখে যাও
-হুম চা খেয়ে,ফ্রেস হয়ে,রেডি হয়ে টেবিলে আসো
-হুমমমমমম
-ঘুমোতে দাও প্লিজ
-ঢং কইরো না,উঠো বলতেছি! চা ঠান্ডা হয়ে গেলো তো,এইইই
-উফ ঘুমাইতেও দিবা না শান্তিতে! চা রেখে যাও
-হুম চা খেয়ে,ফ্রেস হয়ে,রেডি হয়ে টেবিলে আসো
-হুমমমমমম
শুভ্র অফিস যাওয়ার পর ঘরের কাজ সেরে ত্রপা বড্ড একা হয়ে পরে। কাজর লোক না থাকায় ত্রপাই সব করে,ওর ভালোই লাগে আর দুজনের সংসারে কাজের লোকের দরকারই বা কি! কিন্তু এখন ভাবছে থাকলে ভালই হতো,অন্তত কথা বলা যেতো।
৬টা বাজে অথচ এখনো শুভ্রর ফেরার নাম নেই আর আজকাল তো ও এভাবেই দেরি করে ফিরে - ভাবে ত্রপা। হঠাৎ কলিংবেলের শব্দে ভাবনায় ছেদ পরে ওর, ঘড়িতে দেখে ৮টা বেজে গেছে-দরজা খুলে দেখে শুভ্র,
-এতো দেরি করলে যে?
-আর বলোনা, রাস্তায় এতো জ্যাম থাকে না! বলে ঘরে ঢুকে শুভ্র।
এই মিথ্যাটাও যেনো ধরে ফেলে ত্রপা তাই দীর্ঘশাস ফেলে শুভ্রকে চেইনজ করে খাবার টেবিলে আসতে বলে ও রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ায়।
-এতো দেরি করলে যে?
-আর বলোনা, রাস্তায় এতো জ্যাম থাকে না! বলে ঘরে ঢুকে শুভ্র।
এই মিথ্যাটাও যেনো ধরে ফেলে ত্রপা তাই দীর্ঘশাস ফেলে শুভ্রকে চেইনজ করে খাবার টেবিলে আসতে বলে ও রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ায়।
-শুভ্র, খেতে এসো
-হুম আসছি
-কি হলো,এতো চুপচাপ যে তুমি? ত্রপা কে জিজ্ঞেস করে শুভ্র
-নাহ কিছুনা,খাও তুমি
-তুমি খাবেনা?
-পরে খাবো, তুমি খেয়ে নাও
-হুম বলে খেতে লাগলো শুভ্র
শুভ্রর দিকে তাকিয়ে ত্রপা ভাবে, আগে ও খাইয়ে না দিলে খাইতেই চাইতোনা শুভ্র আর এখন কতটা পালটে গেছে ও- ভেবেই যেনো কান্না পায় ত্রপার।
-হুম আসছি
-কি হলো,এতো চুপচাপ যে তুমি? ত্রপা কে জিজ্ঞেস করে শুভ্র
-নাহ কিছুনা,খাও তুমি
-তুমি খাবেনা?
-পরে খাবো, তুমি খেয়ে নাও
-হুম বলে খেতে লাগলো শুভ্র
শুভ্রর দিকে তাকিয়ে ত্রপা ভাবে, আগে ও খাইয়ে না দিলে খাইতেই চাইতোনা শুভ্র আর এখন কতটা পালটে গেছে ও- ভেবেই যেনো কান্না পায় ত্রপার।
রান্নাঘর গুছিয়ে ত্রপা ঘরে গিয়ে দেখে শুভ্র ঘুমিয়ে পরেছে। ত্রপা আস্তে করে বিছানায় গিয়ে পুরোনো কথা ভাবতে থাকে যে কি শুভ্র কি হয়ে গেলো তারপর তলিয়ে যায় ঘুমের দেশে।
ঘরের টুকিটাকি জিনিস কিনতে হবে। শুভ্রকে আনতে বলেছিলো ত্রপা কিন্তু ওর নাকি সময় হবেনা তাই ত্রপা নিজেই বের হয়েছে। ওর এইসব বিরক্ত লাগে তাও বাধ্য হয়ে বের হতে হয়।
আজও ত্রপা ফেরার পথে দেখতে পায় অবিকল শুভ্রর মতো একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে কফিশপে ঢুকছে।
কিন্তু এটা শুভ্র কি করে হবে, শুভ্রর তো এখন অফিস টাইম- নিজেই নিজেকে বলে ত্রপা তাও যেনো কোথায় একটা খটকা লাগে।
গিয়ে দেখবো নাকি কিন্তু ওটা যদি অন্য কেউ হয়? চোঁখের ভুল নয়তো?-ভাবে ত্রপা । কিন্তু দুই দুইটা দিন কি করে চোঁখের ভুল হবে? আজ ভুলটা তবে ভেঙ্গেই ফেলি- ভেবেই রিকশা থেকে নেমে কফিশপের দিকে হাটঁতে লাগলো ত্রপা আর মনে মনে আল্লাহকে বলতে লাগলো- আল্লাহ, ওটা যেন আমার শুভ্র না হয়।
কফিশপে ঢুকে নিজেকে আড়াল রেখে চারিদিকে চোঁখ বুলাতে লাগলো ত্রপা। হঠাৎ একটা জায়গায় ওর চোঁখ স্থির হয়ে গেলো। শুভ্রই ওটা,একটা মেয়ের সাথে বসা। হেসে হেসে গল্প করছে আর কফি খাচ্ছে। জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ত্রপা.....
শুভ্র তিনার সাথে, কি করে এটা সম্ভব- বিশ্বাস করতে পারছেনা ত্রপা। তিনা! যে মেয়েটা বার বার ওর আর আমার সম্পকর্ নষ্ট করতে চেয়েছে সেই মেয়েটার সাথে শুভ্র! - আর ভাবতে পারেনা ত্রপা, কাদঁতে কাদঁতে ছুটে বেড়িয়ে যায় কফিশপ থেকে।
তবে কেন চার চারটা বছর আমাকে ঠকালো শুভ্র, আমার ভালোবাসায় কি এতটাই খাঁদ ছিলো? এই ছেলেকে আমি ভালোবেসেছিলাম? বিশ্বাস করে নিজের সবকিছু ছেড়ে এসেছিলাম? -নিজেকেই প্রশ্ন করে ত্রপা। তবে কি আগেই বাবা বুঝতে পেরেছিলেন যে এমনটাই হবে, তাই তিনি আমার আর শুভ্রর বিয়েতে রাজি ছিলেন না- ভাবতে থাকে ত্রপা।
বাসায় এসেই সিদ্ধান্ত নেয় ত্রপা।
আর নয়, অনেক সহ্য করেছি তাই আজ আমাকে চলে যেতেই হবে-এসব ভাবতে ভাবতে শুভ্রকে একটা চিঠি লিখে ত্রপা আর নিজে যে জিনিসগুলো এনেছিলো সেসব ব্যাগ এ ঢুকিয়ে, শুভ্রর দেওয়া জিনিসগুলো রেখে চলে যায় ত্রপা।
আজও ত্রপা ফেরার পথে দেখতে পায় অবিকল শুভ্রর মতো একটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে কফিশপে ঢুকছে।
কিন্তু এটা শুভ্র কি করে হবে, শুভ্রর তো এখন অফিস টাইম- নিজেই নিজেকে বলে ত্রপা তাও যেনো কোথায় একটা খটকা লাগে।
গিয়ে দেখবো নাকি কিন্তু ওটা যদি অন্য কেউ হয়? চোঁখের ভুল নয়তো?-ভাবে ত্রপা । কিন্তু দুই দুইটা দিন কি করে চোঁখের ভুল হবে? আজ ভুলটা তবে ভেঙ্গেই ফেলি- ভেবেই রিকশা থেকে নেমে কফিশপের দিকে হাটঁতে লাগলো ত্রপা আর মনে মনে আল্লাহকে বলতে লাগলো- আল্লাহ, ওটা যেন আমার শুভ্র না হয়।
কফিশপে ঢুকে নিজেকে আড়াল রেখে চারিদিকে চোঁখ বুলাতে লাগলো ত্রপা। হঠাৎ একটা জায়গায় ওর চোঁখ স্থির হয়ে গেলো। শুভ্রই ওটা,একটা মেয়ের সাথে বসা। হেসে হেসে গল্প করছে আর কফি খাচ্ছে। জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ত্রপা.....
শুভ্র তিনার সাথে, কি করে এটা সম্ভব- বিশ্বাস করতে পারছেনা ত্রপা। তিনা! যে মেয়েটা বার বার ওর আর আমার সম্পকর্ নষ্ট করতে চেয়েছে সেই মেয়েটার সাথে শুভ্র! - আর ভাবতে পারেনা ত্রপা, কাদঁতে কাদঁতে ছুটে বেড়িয়ে যায় কফিশপ থেকে।
তবে কেন চার চারটা বছর আমাকে ঠকালো শুভ্র, আমার ভালোবাসায় কি এতটাই খাঁদ ছিলো? এই ছেলেকে আমি ভালোবেসেছিলাম? বিশ্বাস করে নিজের সবকিছু ছেড়ে এসেছিলাম? -নিজেকেই প্রশ্ন করে ত্রপা। তবে কি আগেই বাবা বুঝতে পেরেছিলেন যে এমনটাই হবে, তাই তিনি আমার আর শুভ্রর বিয়েতে রাজি ছিলেন না- ভাবতে থাকে ত্রপা।
বাসায় এসেই সিদ্ধান্ত নেয় ত্রপা।
আর নয়, অনেক সহ্য করেছি তাই আজ আমাকে চলে যেতেই হবে-এসব ভাবতে ভাবতে শুভ্রকে একটা চিঠি লিখে ত্রপা আর নিজে যে জিনিসগুলো এনেছিলো সেসব ব্যাগ এ ঢুকিয়ে, শুভ্রর দেওয়া জিনিসগুলো রেখে চলে যায় ত্রপা।
অনেকক্ষন হলো শুভ্র কলিংবেল টিপেই যাচ্ছে কিন্তু দরজা খোলার নামই নেই।
উফ,কোথায় যে থাকে ত্রপা! এমনটা তো কখনত্ত হয়না তবে কি ও বাসায় নেই- এইসব সাতপাঁচ ভেবে নিজের কাছে থাকা চাঁবি দিয়ে দরজা খোলে ভেতরে ঢুকে শুভ্র। কাপড়চোপড় পালটে নিজেই চা করতে রান্নাঘরে যায় ও।
চা বানিয়ে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এসে টিভি ছেড়ে চায়ে চুমুক দেয় ও। হঠাৎ দেখে টেবিলের উপর একটা কাগজ আটকানো,কাগজটা হাতে নেয় শুভ্র।
চিঠির মতো লাগছে,চিঠি আবার কে দিলো- ভাবে শুভ্র তারপর চিঠিটা পড়তে লাগলো।
পুরো চিঠিটা পরে শুভ্র পুরো পাথর হয়ে গেলো....
আমাকে আর তিনাকে কোথায়,কিভাবে ত্রপা দেখলো? ও কেনো আমার সাথে দেখা না করে,সামনাসামনি কথা না বলে চলে যেতে পারে? আমি কি দুষ করলাম?কারো সাথে কথা বলা কি এতটাই দুষের? -নিজেকেই যেনো প্রশ্ন করে শুভ্র। সাথে সাথে ত্রপাকে ফোন দেয় শুভ্র কিন্তু ফোনের সুইচড অফ। যতবারই ফোন দেয় ততবারই বলে সুইচড অফ।
সেদিনের পর থেকে শুভ্র ত্রপার আর কোনো খুঁজ পায়নি। খুঁজার মতো না খুঁজলেও খুঁজেছে কিন্তু পায়নি।
শুভ্র হয়তো ভালই আছে আর থাকবে কিন্তু একটা কথা হয়তো শুভ্রর আর কোনোদিন জানা হবে না যে--যে মেয়েটা ওকে পাগলের মতো ভালোবাসতো সেই ত্রপা নামের মেয়েটা আর নেই। সেদিন বুক ভরা কষ্ট, যন্ত্রনা, ঘৃণা নিয়ে কাদঁতে কাদঁতে রাস্তায় ছুটার সময় ওর এক্সিডেন্ট হয়,লোকজন অনেক চেষ্টা করেও ওকে আর বাচাঁতে পারেনি।হয়তো আল্লাহ সেদিনই ওর কষ্টের সমাপ্তি দিয়েছিলেন......!!!
ত্রপারা বুঝি এভাবেই মুক্তি পায় শুভ্রদের অবহেলা থেকে!!!
উফ,কোথায় যে থাকে ত্রপা! এমনটা তো কখনত্ত হয়না তবে কি ও বাসায় নেই- এইসব সাতপাঁচ ভেবে নিজের কাছে থাকা চাঁবি দিয়ে দরজা খোলে ভেতরে ঢুকে শুভ্র। কাপড়চোপড় পালটে নিজেই চা করতে রান্নাঘরে যায় ও।
চা বানিয়ে নিয়ে ড্রয়িংরুমে এসে টিভি ছেড়ে চায়ে চুমুক দেয় ও। হঠাৎ দেখে টেবিলের উপর একটা কাগজ আটকানো,কাগজটা হাতে নেয় শুভ্র।
চিঠির মতো লাগছে,চিঠি আবার কে দিলো- ভাবে শুভ্র তারপর চিঠিটা পড়তে লাগলো।
পুরো চিঠিটা পরে শুভ্র পুরো পাথর হয়ে গেলো....
আমাকে আর তিনাকে কোথায়,কিভাবে ত্রপা দেখলো? ও কেনো আমার সাথে দেখা না করে,সামনাসামনি কথা না বলে চলে যেতে পারে? আমি কি দুষ করলাম?কারো সাথে কথা বলা কি এতটাই দুষের? -নিজেকেই যেনো প্রশ্ন করে শুভ্র। সাথে সাথে ত্রপাকে ফোন দেয় শুভ্র কিন্তু ফোনের সুইচড অফ। যতবারই ফোন দেয় ততবারই বলে সুইচড অফ।
সেদিনের পর থেকে শুভ্র ত্রপার আর কোনো খুঁজ পায়নি। খুঁজার মতো না খুঁজলেও খুঁজেছে কিন্তু পায়নি।
শুভ্র হয়তো ভালই আছে আর থাকবে কিন্তু একটা কথা হয়তো শুভ্রর আর কোনোদিন জানা হবে না যে--যে মেয়েটা ওকে পাগলের মতো ভালোবাসতো সেই ত্রপা নামের মেয়েটা আর নেই। সেদিন বুক ভরা কষ্ট, যন্ত্রনা, ঘৃণা নিয়ে কাদঁতে কাদঁতে রাস্তায় ছুটার সময় ওর এক্সিডেন্ট হয়,লোকজন অনেক চেষ্টা করেও ওকে আর বাচাঁতে পারেনি।হয়তো আল্লাহ সেদিনই ওর কষ্টের সমাপ্তি দিয়েছিলেন......!!!
ত্রপারা বুঝি এভাবেই মুক্তি পায় শুভ্রদের অবহেলা থেকে!!!
বিঃদ্রঃ পাঠকরা প্রশ্ন করতে পারেন যে কেনো আমি বললাম-"হয়তো শুভ্র ভালই আছে এবং থাকবে"। কারন যেসব ছেলেরা বউ বা ভালোবাসার মানুষ রেখে অন্য মেয়ের পেছনে ঘুরে সেইসব ছেলেরা ভালই থাকে, এরা ভালোবাসার মর্মই বুঝেনা।
আরেকটা হলো "ত্রপার মৃত্যু"। ত্রপারা মরেই,হয়তা আকাশের তারা হয়ে যায় যদি ভাগ্যবতি হয় নয়তো বেচেঁ থেকেও মরার মতো থাকে । কারন যাকে মনপ্রান উজার করে ভালোবাসা যায় আর যাকে অনেক সাধনার পর পাওয়া যায়, আর যাই হউক সেই মানুষটার থেকে পাওয়া অবহেলা সহ্য করা যায়না- সেই ক্ষমতাটাই থাকেনা।
আরেকটা হলো "ত্রপার মৃত্যু"। ত্রপারা মরেই,হয়তা আকাশের তারা হয়ে যায় যদি ভাগ্যবতি হয় নয়তো বেচেঁ থেকেও মরার মতো থাকে । কারন যাকে মনপ্রান উজার করে ভালোবাসা যায় আর যাকে অনেক সাধনার পর পাওয়া যায়, আর যাই হউক সেই মানুষটার থেকে পাওয়া অবহেলা সহ্য করা যায়না- সেই ক্ষমতাটাই থাকেনা।
এটা একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত তাই কারো সাথে মিলে গেলে বা কারো খারাপ লাগলে ক্ষমা করবেন প্লিজ কারন এটা আমার প্রথম লেখা। ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন