এই পড়!পড়! একটা প্রশ্ন পড়তে এত সময় লাগে ? পড় তাড়াতাড়ি ...একটু পর পরই চিৎকার করে উঠছে অন্তু । আজ পড়াতে মোটেও মন বসছে না।। আজ আসতো না, কিন্তু কি আর করা, মাসের ৭ তারিখ অথচ এখনো বেতন পায়নি সে। আসলে বেতন দিতে পারে সেই আশায় আসা , দুই ঘণ্টা যাবত বসে আছে কিন্তু বেতন তো দূরের কথা এক কাপ চা নিয়েও কেউ আসলো না... মাথা টা ঝিম ঝিম করছে এক কাপ চা হলে খুব ভালো হতো কিন্তু এটা তো আর তার মামার বাড়ি না যে চা চাইলেই চা এসে হাজির হবে । তিনটা স্টুডেন্ট পড়ায় অথচ একটা টিউশনিতেও বেতন পায় নি। হাতে এক্কেবারেই টাকা নাই... যদিও টাকা পেলেও তার হাতে টাকা থাকে না কারন ধার পরিশোধ করে আর হাতে একশো টাকাও থাকে না । বাসা ভাড়াও জমে আছে দুই মাসের, নাহ এই মাসে বাসার ভাড়াটা পরিশোধ করতে হবে, দুই মাসের না হোক অন্তত এক মাসের হলেও দিয়ে দিতে হবে, গত কাল বাড়িওয়ালার কথা শুনে মনে হল বিশাল কোন অপরাধ করে ফেলেছে সে, কেউ বোঝে না আর বুঝবেই বা কেন? কর্পোরেট লাইফে সবাই তো স্বার্থপর , আর নিজের প্রাপ্য টাকা চাওয়াটাও তো অন্যায় কিছু না।।
পাঁচটা বছর যাবত ঢাকায় থাকলেও একটা টাকাও বাড়ি থেকে আসেনি , কই থেকেই বা আসবে ? কে ই বা পাঠাবে ? আছেই বা কে? যাও একটা বোন আছে সেও কিছুই করে না, স্বামীর টাকা তো আর ভাই কে পাঠানো যায় না...
নাহ আর বসা যায় না... দীর্ঘ তিন ঘণ্টা যাবত বসে আছে কিন্তু স্টুডেন্ট এর বাবা মা কেউই আসলো না... এমনিতে এক এক দিন পাঁচ ছয় বার এসে খবর নেয় কেমন পড়ায় না পড়ায়, এমন ভাবে কথা বলে যেন বেতন দিয়ে তাকে কিনে নিয়েছে তারা !! আর বেতন দেয়ার সময় হলেই সবাই উধাও !!!
উঠে পড়ল অন্তু, আজ তার পাঁচশো টাকা খুব দরকার, কার কাছে চাওয়া যায় সেটা ভাবতে ভাবতে হাঁটতে শুরু করলো... কিন্তু কার কাছে চাইবে, সব বন্ধুরাই তো তার কাছে টাকা পায়...।।
চাওয়া যেত অরণীর কাছে... বললে এক নিমিষেই টাকা হাজির হতো তার সামনে ... কত টাকা যে অরণী তার কাছে পায় সেটা হয়ত অরণী নিজেও জানে না। কিন্তু আজ তো আর অরণীর কাছে চাওয়া যায় না। টাকাটা তো আজ অরণীর জন্যই দরকার, কারো বিয়েতে তো খালি আর হাতে যাওয়া যায় না ! কিছু না কিছু তো নিতেই হবে ।
কাল অরণীর বিয়ে । আর আজ তার গায়ে হলুদ । আজ হয়ত খুব সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে ... অরণী প্রায়ই বলত সে তার গায়ে হলুদে হালকা হলুদ আর লাল পাঁড়ের একটা জামদানী পড়বে সাথে থাকবে ফুলের গহনা ।। হয়ত ওভাবেই সেজেছে অরণী... হয়ত পরীর মতো লাগছে অরণীকে ... আজ অরণীকে খুব দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে অন্তুর... কখনোই মেয়েটার প্রশংসা করে নি সে । কিন্তু আজ করতে ইচ্ছে হচ্ছে তার, অরণী কে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে অরণী তুই পৃথিবীর সব চেয়ে মায়াবতী একটি মেয়ে, কিন্তু কিভাবে বলবে? পকেটে আছে মাত্র দশটা টাকা । অরণীর বাসা অনেক দূর, এত দূর যে হেটে যাওয়াও সম্ভব না... আর তাছাড়া ভীষণ ক্লান্ত অন্তু ...
পাঁচ বছর আগে প্রথম দেখা অরণীর সাথে, বাসে বসা ছিল অন্তু ঢাকা ভার্সিটির বাস গুলোতে প্রচণ্ড জ্যাম থাকে ঠিক ঢাকা শহরের মতো, ভর্তি হওয়ার পর আজি প্রথম ক্লাস,হটাৎ খুব দৌড়ে একটা মেয়ে বাসে উঠলো, অন্তু নিজে সরে গিয়ে মেয়েটাকে বসার জায়গা করে দিল , অথচ একটা সাধারন ধন্যবাদও মেয়েটা দিল না, এমন এক ভাব দেখালো যেন উঠে জায়গা দেওয়া ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক।। নিজের উপর প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হল অন্তুর,কারো এমন ব্যাবহার একদমই সহ্য হয় না ,ক্লাসে ঢুকতেই প্রথমেই চোখ পড়লো বাসের সেই মেয়েটার উপর... সে চিন্তা করলো কখনই এই দেমাগি মেয়ের সাথে কথা বলবে না , একটা ক্লাস শেষ, কি বুঝালো কিছুই মাথায় ঢুকল না, যাই হোক হটাৎ পিছন থেকে কে যেন বলে উঠলো আমি অরণী, পেছন ফিরে তাকালো অন্তু,
আমি দুঃখিত আপনি আপনার জায়গা ছেড়ে আমাকে বসতে দিলেন অথচ একটা ধন্যবাদও আপনাকে দিলাম না, আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম আমি, সত্যি দুঃখিত, অন্তু অবাক হল মেয়েটার আচরনে! এখনো তার নিজের উপর রাগ হচ্ছিলো সব সময়ই সে কারো সম্পর্কে না জেনেই তার সম্পর্কে কিছু না কিছু ধারনা নেয়, এই মেয়েটাকে নিয়ে কি না কি ভাবল সে! একই ডিপার্টমেন্ট তাই কিভাবে কিভাবে যেন বন্ধুত্বটাও হয়ে যায়, কত রকম ভাবে সাহায্য না পেয়েছে অন্তু অরণীর কাছ থেকে, অরণী খুব বুঝতো অন্তুকে, অন্তুর পকেটে মাঝে মাঝে রিক্সা ভাড়াটাও থাকত না সে বলার আগেই অরণী ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিত, মাঝে মাঝে এমন হতো পড়ার প্রয়োজনীয় বইটা কিনার টাকাটা নিতে হতো অরণীর কাছ থেকে, অরণী কে কখনোই বলা লাগতো না তার যে দোস্ত কিছু টাকা দে, কিভাবে কিভাবে যেন অরণী বুঝে ফেলত টাকা বের করে দিয়ে বলত নে, অন্তু তখন বলত দোস্ত একটা চাকরী পাই দেখিস তোর সব টাকা একদিনেই ফেরত দিয়ে দেবো, অরণী তখন শুধুই হাসত, মেয়েটা খুব যত্ন নিতো অন্তুর, একেবারে আপন কারো মতো, মেয়েটার জন্য এমন কিছুই করতে পারেনি সে , এমনকি অরণীর জন্মদিনটাও মনে রাখতে পারেনি... মাঝে মাঝেই অরণীর বেশি বেশি যত্ন অসহ্য লাগত অন্তুর ।। কিন্তু আজ তার কেমন জানি লাগছে!!! সে বুঝতে পারছে না অনুভূতিটা এমন কেন? কাল থেকে অরণী আর তাকে ফোন করে জ্বালাবে না, বার বার কানের কাছে প্যানপ্যান করে বলবে না অন্তু তুই দাড়ি কাটাস না কেন? তুই কি দেবদাস হবি নাকি? বলবে না এই ছেলে এত দেড়িতে ক্লাসে ঢুকস কেন ? আর কত এক হাতে তোর আর আমার লেকচার তুলবো ?
আমি দুঃখিত আপনি আপনার জায়গা ছেড়ে আমাকে বসতে দিলেন অথচ একটা ধন্যবাদও আপনাকে দিলাম না, আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম আমি, সত্যি দুঃখিত, অন্তু অবাক হল মেয়েটার আচরনে! এখনো তার নিজের উপর রাগ হচ্ছিলো সব সময়ই সে কারো সম্পর্কে না জেনেই তার সম্পর্কে কিছু না কিছু ধারনা নেয়, এই মেয়েটাকে নিয়ে কি না কি ভাবল সে! একই ডিপার্টমেন্ট তাই কিভাবে কিভাবে যেন বন্ধুত্বটাও হয়ে যায়, কত রকম ভাবে সাহায্য না পেয়েছে অন্তু অরণীর কাছ থেকে, অরণী খুব বুঝতো অন্তুকে, অন্তুর পকেটে মাঝে মাঝে রিক্সা ভাড়াটাও থাকত না সে বলার আগেই অরণী ব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিত, মাঝে মাঝে এমন হতো পড়ার প্রয়োজনীয় বইটা কিনার টাকাটা নিতে হতো অরণীর কাছ থেকে, অরণী কে কখনোই বলা লাগতো না তার যে দোস্ত কিছু টাকা দে, কিভাবে কিভাবে যেন অরণী বুঝে ফেলত টাকা বের করে দিয়ে বলত নে, অন্তু তখন বলত দোস্ত একটা চাকরী পাই দেখিস তোর সব টাকা একদিনেই ফেরত দিয়ে দেবো, অরণী তখন শুধুই হাসত, মেয়েটা খুব যত্ন নিতো অন্তুর, একেবারে আপন কারো মতো, মেয়েটার জন্য এমন কিছুই করতে পারেনি সে , এমনকি অরণীর জন্মদিনটাও মনে রাখতে পারেনি... মাঝে মাঝেই অরণীর বেশি বেশি যত্ন অসহ্য লাগত অন্তুর ।। কিন্তু আজ তার কেমন জানি লাগছে!!! সে বুঝতে পারছে না অনুভূতিটা এমন কেন? কাল থেকে অরণী আর তাকে ফোন করে জ্বালাবে না, বার বার কানের কাছে প্যানপ্যান করে বলবে না অন্তু তুই দাড়ি কাটাস না কেন? তুই কি দেবদাস হবি নাকি? বলবে না এই ছেলে এত দেড়িতে ক্লাসে ঢুকস কেন ? আর কত এক হাতে তোর আর আমার লেকচার তুলবো ?
কালকে অন্তু মুক্তি পাবে এই যন্ত্রণা থেকে কিন্তু আজ খুশি হওয়ার জায়গায় খারাপ লাগছে ,ব্যাপার কি?? নিজের উপরের নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা কি হারাতে শুরু করেছে ? নাকি অরণীর মায়াবী চোখের ফাঁদে পা দিয়েছে অনেক আগেই কিন্তু টের পায় নি...মেয়েটাকে একেবারে হারানোর যন্ত্রণা কেন এত কষ্ট দিচ্ছে তাকে ? কেন বার বার ছুটে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে অন্তুর ? অরণীর অধরা হাতাটাকে শক্ত করে ধরে বলতে ইচ্ছা করছে যাস না অরণী আমাকে ছেড়ে, আমি তোকে ছাড়া অসহায়।
না না, কোনভাবেই না, এই আবেগটাকে কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না... এই আবেগের সামান্য মূল্য হয়ত অরণীর কাছেও নাই, থাকবেই বা কেন ? অন্তুর মতো এই হত দরিদ্র একটা ছেলেকে কেনই বা ভালবাসবে অরণী ? না না ভালবাসি না, বাসি না ভালো, মোটেই বাসি না কিছুতেই বাসি না...
আজকের আকাশটা অদ্ভুত সুন্দর ... একটা চাঁদের পাশে অনেক গুলো তারা !একটা দুইটা তিনটা উফফ ভুল হয়ে গেলো ... কিছুতেই তারা গোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না অরণী...উল্টা পাল্টা হচ্ছে বার বার ... আবার শুরু একটা দুইটা তিনটা ... নাহ আবার ভুল ! শুধুই ভুল ...।
সে মনে মনে ভাবছে তারা গুনার বৃথা চেষ্টা কি শুধু বোকারাই করে ? তার মতো একটি বুদ্ধিমতি মেয়ে কি তারা গুনতে পারে না,? নাকি বুদ্ধিমতিদের তারা গুনার ইচ্ছা হওয়াটা ভুল ? আচ্ছা অন্তু কি তারা গুনে? গুনতেও পারে কারন এই গাধাটার মাথায় তো গোবর ছাড়া আর কিছুই নেই...। কিন্তু কি আশ্চর্য ঐ গাধাটাকেই পাগলের মতো ভালবাসে অরণী...
আচ্ছা গাধাটা কি কখনই বুঝতে পারেনি? অন্তু না বুঝুক অরণী তো বোঝাতে পারতো?
কেন বলতে পারল না ''আরে গাধা তোকে আমি ভালবাসি, প্রচণ্ড ভালবাসি... কেন বলতে পারল না তোকে ছাড়া চলবে না, কিছুতেই না, কখনোই না...।
কেন বলতে পারল না ''আরে গাধা তোকে আমি ভালবাসি, প্রচণ্ড ভালবাসি... কেন বলতে পারল না তোকে ছাড়া চলবে না, কিছুতেই না, কখনোই না...।
অরণী এখন তাকিয়ে তার হাত ভরা মেহদীর দিকে, কি সুন্দর রঙ হয়েছে, কিন্তু তার মন কিছুতেই ভালো হচ্ছে না, এই বিয়েতে তার মত নেই যদিও কেউ তাকে জোড় করে বিয়ে দিচ্ছে না । বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে বাবা মা দুজনই অনেক বার তার মত জানতে চেয়েছেন কিন্তু অরণী হা অথবা না কিছুই বলেনি ।। সবাই ভেবে নিয়েছে নীরবতাই সম্মতির লক্ষন । ছেলে দেখতে শুনতে ভালো, ভালো চাকরি করে বিয়ের পর কোন কিছুরই অভাব হবে না অরণীর তবু সে খুশি না...
শুধুই অন্তুর কথা মনে পড়ছে।। হয়ত কাল বিয়েতে অন্তু খালি হাতে আর তার নীল পাঞ্জাবিটা পরে হাজির হবে ! খুব বিনীত কণ্ঠে কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলবে অরণী গিফট কেনার টাকা নাই, তোর দেওয়া বাকি টাকা গুলোর সাথে এই গিফট টাও তোলা রইলো দেখিস চাকরী পেলেই গিফট পেয়ে যাবি ......।। অন্তু কি কাল সত্যি আসবে? অরণীর চোখ বেয়ে জল পড়তে লাগলো জোছনার আলোয় চোখের জল চিকচিক বর্ণ ধারন করলো...।।
আজকের জোছনা এত বিষণ্ণ কেন ? কষ্ট গুলোকে আকাশে বিলিয়ে দিয়ে অরণী চাঁদের মাঝে চন্দ্রবিন্দু খুজতে শুরু করলো .........।
আজকের জোছনা এত বিষণ্ণ কেন ? কষ্ট গুলোকে আকাশে বিলিয়ে দিয়ে অরণী চাঁদের মাঝে চন্দ্রবিন্দু খুজতে শুরু করলো .........।
সারাদিন টাকার জন্য দৌড়াদৌড়ি করে ভীষণ ক্লান্ত অন্তু... বাসায় ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়লো, ঘুমিয়ে পড়বে, সারাদিন অরণীটা পাশে না থেকেও সারাদিন অনেক জালিয়েছে তাকে। খুব মনে পড়েছে অরণীর চোখ দুটোর কথা...
চোখ দুটো একটা রহস্যমূলক বই থেকে কোন অংশে কম না. পাতায় পাতায় রহস্যে ভরপুর ..।।
চোখ দুটো একটা রহস্যমূলক বই থেকে কোন অংশে কম না. পাতায় পাতায় রহস্যে ভরপুর ..।।
অন্তু এই অন্তু দরজা খোল,
আহা এত সকালে কে এলো? চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুলে অবাক অন্তু !
হলুদ জামদানী সাথে লাল পাড়ের শাড়িটায় অদ্ভুত মানিয়েছে অরণীটাকে । চল তাড়াতাড়ি চল, বের হবো প্রথমে হাঁটবো তারপর রিকশায় চড়ে ঘুরবো সারা শহর। যদি বৃষ্টি শুরু হয় তবে রিকশার হুড খুলে ভিজবো, চল তাড়াতাড়ি চল ...।
আরে চল মানে ? আজ না তোর বিয়ে ? হা ছিল কিন্তু আমি বিয়ে করছি না ! কথা না বাড়িয়ে চল...অন্তু কিছুই বুঝতে না পেড়েও অরণীর পেছন পেছন হাটা শুরু করলো। হাঁটতে হাঁটতে ফুটপাতের একটা দোকানে দাঁড়াইয়ে একটা আইসক্রিম কিনল অরণী ,
অন্তু অবাক দৃষ্টি তে দেখছে অরণীকে হলুদ জামদানীতে অরণী আর তার হাতে একটা সবুজ আইসক্রিম......
আহা এত সকালে কে এলো? চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুলে অবাক অন্তু !
হলুদ জামদানী সাথে লাল পাড়ের শাড়িটায় অদ্ভুত মানিয়েছে অরণীটাকে । চল তাড়াতাড়ি চল, বের হবো প্রথমে হাঁটবো তারপর রিকশায় চড়ে ঘুরবো সারা শহর। যদি বৃষ্টি শুরু হয় তবে রিকশার হুড খুলে ভিজবো, চল তাড়াতাড়ি চল ...।
আরে চল মানে ? আজ না তোর বিয়ে ? হা ছিল কিন্তু আমি বিয়ে করছি না ! কথা না বাড়িয়ে চল...অন্তু কিছুই বুঝতে না পেড়েও অরণীর পেছন পেছন হাটা শুরু করলো। হাঁটতে হাঁটতে ফুটপাতের একটা দোকানে দাঁড়াইয়ে একটা আইসক্রিম কিনল অরণী ,
অন্তু অবাক দৃষ্টি তে দেখছে অরণীকে হলুদ জামদানীতে অরণী আর তার হাতে একটা সবুজ আইসক্রিম......
খট খট খট ......।
খট খট খট।। হটাৎ দরজার খট খট শব্দ কানে গেলো অন্তুর, লাফ দিয়ে উঠলো , আসে পাশে তাকাল আরে এটা তো তার ঘর কিন্তু অরণী কই? প্রায় মিনিট পাঁচেক পর ঘুমের ঘোর কাটল তার , স্বপ্নও বাস্তবতার মতো মশকরা করলো তার সাথে!! জীবন আর স্বপ্নে এত তফাৎ কেন ? উঠে দরজা খুলে দেখল বাড়িওয়ালা...। আপনাকে কথা দিচ্ছি কাল আপনার বাসার ভাড়াটা দিয়ে দেবো,... অনেক অজুহাত দেখিয়ে বিদায় করলো বাড়িওয়ালাকে , দরজা লাগিয়ে রুমে ঢুকেই চোখ পড়লো আলনায় ঝুলন্ত সেই পুরনো নীল পাঞ্জাবীটার উপর। ঝটপট করে পরে নিল পাঞ্জাবীটা । ভাবশা একটা দুর্গন্ধ বেরহচ্ছিল পাঞ্জাবী থেকে...কত দিন ধোয়া হয়নি , তবু সমস্যা না... অরণী তো আর পাশে নেই...।
খট খট খট।। হটাৎ দরজার খট খট শব্দ কানে গেলো অন্তুর, লাফ দিয়ে উঠলো , আসে পাশে তাকাল আরে এটা তো তার ঘর কিন্তু অরণী কই? প্রায় মিনিট পাঁচেক পর ঘুমের ঘোর কাটল তার , স্বপ্নও বাস্তবতার মতো মশকরা করলো তার সাথে!! জীবন আর স্বপ্নে এত তফাৎ কেন ? উঠে দরজা খুলে দেখল বাড়িওয়ালা...। আপনাকে কথা দিচ্ছি কাল আপনার বাসার ভাড়াটা দিয়ে দেবো,... অনেক অজুহাত দেখিয়ে বিদায় করলো বাড়িওয়ালাকে , দরজা লাগিয়ে রুমে ঢুকেই চোখ পড়লো আলনায় ঝুলন্ত সেই পুরনো নীল পাঞ্জাবীটার উপর। ঝটপট করে পরে নিল পাঞ্জাবীটা । ভাবশা একটা দুর্গন্ধ বেরহচ্ছিল পাঞ্জাবী থেকে...কত দিন ধোয়া হয়নি , তবু সমস্যা না... অরণী তো আর পাশে নেই...।
সকাল বেলা রাস্তা ফাঁকা , আরে ঢাকা শহরের মানুষ গুলো আজ কোথায়? সবাই কি অরণীর বিয়েতে গেছে ?
ফাঁকা রাস্তায় হাটা শুরু করলো অন্তু গন্তব্যহীন হাটা ......
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন