শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভালবাসার খোঁজ...

একচোখ খুলে তূর্ণাকে দেখে আবার পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো আসিফ ।
কি যন্ত্রণা ! উঠো না কেন ? সেই কখন একবার চা দিয়ে গেছি । ঠাণ্ডা বানায় ফেলছো । আবার বানায় আনছি , তুমি এখনো ঘুমাইতেছো ।এখন যদি না উঠছো তোমার খবর আছে ।

আশ্চর্যতো ! প্রতিদিন সকালে এক কাহিনী । ঘুমাইতে দিবা নাকি ?

অফিস কি আমি করবো ?

আসিফ আর সাড়া দেয়না ।

দিলাম কিন্তু ঢেলে ।
বলেই একটানে চাদরটা টেনে সরিয়ে দিলো তূর্ণা । লাফিয়ে উঠলো আসিফ ।
দ্যখো , ভালো হবেনা বলছি । ঠাণ্ডা লাগে । চাদর দাও ।

দিবো না । করো যা খুশি ।

বিছানা থেকে উঠতে যায় তূর্ণা । পেছন থেকে হ্যাঁচকা টানে আসিফ নিজের কোলের উপর শুইয়ে দেয় তূর্ণাকে ।


যা খুশি করবো । না ? ওকে করছি দাঁড়াও ।
ধীরে ধীরে ঠোঁটটা নামিয়ে আনে তূর্ণার উপর । চোখ বন্ধ করে আদরটা উপভোগ করে তূর্ণা ।
হাতটা আলগা হয়ে যেতে দৌড়ে পালায় সে ।
খাওয়া শেষ হতেই ল্যপটপের ব্যগটা হাতে নিয়ে বেরোয় আসিফ ।
ওকে । আমি তাহলে আসি ।

হুমম । জলদি আসবা ।

আসবো । তুমি রেডী থাইকো ।

একহাতে তূর্ণাকে জড়িয়ে ধরে আসিফ । কিছু বলবার আগেই
হঠাত্‍ হাপাতে হাপাতে নিচে নেমে আসেন শায়লা , আসিফের মা ।
ঝট করে তূর্ণাকে ছেড়ে দুপা পিছিয়ে যায় আসিফ ।
শোন , দেরী করিস না আবার । এপয়েন্টমেন্ট টাই মিস হয়ে যাবে ।

না মা ।একটুও দেরী করবো না ।

আচ্ছা বাবা , যা তাহলে । ফিআমানিল্লাহ ।
গাড়িতে উঠে একাএকাই গজগজ করতে থাকে আসিফ ।
ধূউউউরো !

তূর্ণা দুপুরের জন্য রান্না করতে ঢুকে পড়ে রান্নাঘরে । বিয়ের তিন বছর হয়ে গেছে । অখচ এখনো এ বাড়ি তে কোন শিশু আসেনি । ব্যপারটা রীতিমত উদ্বেগে দাঁড়িয়ে গেছে । আসিফের একটা ছোট বোন আছে । নুশা । তার দুই ছেলেমেয়ে । কিন্তু শায়লা ছেলের ঘরের সন্তানের আশায় বসে আছেন । বংশধরের আশায় ব্যকুল তিনি । ভয়ে হাত পা কাঁপে তূর্ণার । শাশুড়ীকেই বেশী ভয় তূর্ণার । মাতৃত্বের আকাঙ্খা তার মনকেও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে । কিন্তু এ মূহুর্তে...
আসিফ এ ব্যপারে একদম নির্বিকার ।
তার কথা এইতো বেশ আছি । কপালে থাকলে বাচ্চা হবে । না থাকলে নাই । কিন্তু তূর্ণা এতোটা নির্লিপ্ত হতে পারেনা । আল্লাহ না করুক , যদি সমস্যাটা তার হয়ে থাকে ? তবে....তবে কি আসিফ আবার .... আর ভাবতে পারেনা সে । ভয়ে হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে তার । রান্নায় একটুও মনোযোগ দেয়া হয় না ।

২...

৮টা ৩৫ । ডঃ সামিনা চৌধুরীর রুম থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসে দুজন । আসিফ তাকিয়ে থাকে তূর্ণার দিকে । ভীষণ নার্ভাস সে । তীব্র শীতের মাঝেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তার । কি ভাবে তূর্ণা ? বাচ্চা না হলে তার মা আবার তাকে বিয়ে করাবে ?? কিসব চিন্তা !
হেসে উঠে আসিফ ।
হাসছো কেনো ?
তোমাকে দেখে । মনে হচ্ছে তোমার ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে । মুখটা শুকিয়ে এইটুক হয়ে গেছে ।
তুর্ণা কিছুই বলে না । তার মুখে আসন্ন বিপদের আশঙ্কার কালো ছায়া । তূর্ণাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে আসিফ । কিন্তু কাজ হয় না ।
ভাবনার ঝড় চলছে তূর্ণার মনে ।পরশু সব রিপোর্ট দিবে । তখন জানা যাবে সে মা হতে পারবে কীনা ! যদি রিপোর্ট নেগেটিভ হয় ....তখন কি হবে ? মা কি আবার আসিফ কে বিয়ে দিতে চাইবে ? একটা বাচ্চার জন্য ? আসিফ ও কি বিয়ে করতে রাজি হবে ? অন্য এক বাইরের মেয়ে এসে কেড়ে নিবে তার সব অধিকার ?! তার সংসার ?
আসিফ কিছু বুঝে উঠবার আগেই তূর্ণা এলিয়ে পড়ে যায় সিটের উপর । দ্রুত গাড়ি চালায় সে বাসার উদ্দেশ্যে । হঠাত্‍ প্রচন্ড রাগ হয় তার । এতো এলোমেলো চিন্তা আসে কি করে তূর্ণার মনে ? তার মা একসময় ঢাকার এক কলেজের লেকচারার ছিলো ! তূর্ণা কি মাকে এতোই ব্যকডেটেড মনে করে যে বাচ্চার জন্য আবার বিয়ের কথা ভাববে ? এই দুশ্চিন্তায় তূর্ণা রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছে । বাচ্চা না হলে না হবে । সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় আসিফ । এই চ্যপ্টার এখানেই ক্লোজড । এই রিপোর্ট ও নিবে না সে । যেভাবে যা চলছিল সেভাবেই চলুক ।


৩....


তূর্ণার শরীরটা কেমন খারাপ হতে থাকে আস্তে আস্তে । তূর্ণার মার অনুরোধে তূর্ণাকে তার মায়ের বাড়িতে রেখে আসে আসিফ দুদিনের জন্য ।
অনেকদিন পর সেই রাতে একা শুতে যায় আসিফ । কিছুতেই ঘুম আসে না তার । একটুসময় এপাশ ওপাশ করে উঠে পড়ে বিছানা থেকে ।
ডাইনিং এ লাইট টা জ্বালাতেই দেখে তার মা বারান্দায় বসে আছে । চট করে দেয়ালঘড়িটা দেখে আসিফ । রাত প্রায় একটা ।
কি হলো মা ! ঘুম আসছে না ?
তুই জেগে আছিস কেনো ??
এমনিই । তোমার কি হযেছে ? রোজ তো ১০টা ১১টার মধ্যেই শুয়ে পড়ো ।
আজ ঘুম আসছে না । খুব চিন্তা হচ্ছে ।
কেনো ??
তুই জানিসনা কেনো ?
ওহ । ঐ বাচ্চা ? উফ মা ,বুঝো না কেনো ? একটা বাচ্চা তো আমরা সবাই চাইছি । এখন যদি নাই হয় আমাদের কি করার আছে ? কিছুই করার নাই ।
কেন থাকবে না ? আর একটা বিয়ে করলেই তো হয় .....
স্তব্ধ হয়ে যায় আসিফ । মাকে জড়িযে রাখা হাতদুটা ছিটকে সরে যায় । তার মার মাখায় এমন চিন্তা আসতে পারে স্বপ্নেও ভাবেনা সে । তূর্ণার অসহায় মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে আসিফের ...

৪...
তিনদিন ধরে বাসায় ঠিকমতো থাকে না আসিফ । খুব সকালে বেরিয়ে যায় , অনেক রাতে ফিরে । একটা বেলাও বাসায় খায় না । রাতে আসিফের চিন্তায় ঘুম আসে না শায়লার । তার সাথে আসিফ ঠিকভাবে কথাও বলে না । এমন কি অন্যায় করেছেন তিনি ? আসিফের বাচ্চাই তো তাদের পরবর্তী প্রজন্ম । নাহলে আসিফ - নুশায শেষ হয়ে যাবে তাদের বংশ ?? ছেলেটা কেন তার কষ্ট টা বুঝে না ! বারবার ঘড়ির দিকে চোখ যায় । ঘড়ির কাটা ১১টা পেরিয়েছে । এখনো ছেলে ঘরে ফেরেনি ।
বারটায় বাসায় ফিরলো আসিফ । কাপড় না ছেড়েই শুয়ে পড়লো সে । শায়লা ঘরে ঢুকে লাইট অন করতেই আসিফ বিরক্ত হয়ে উঠে বসলো ।
কি হলো ?
খেতে আয় ।
খিদে নেই ।
টেবিলে খাবার দেয়া । আয় তুই ।
বললাম তো খিদে নেই । খেয়ে এসেছি ।
খেয়ে এলেও আয় । একটু খা । আমি খাইনি এখনো ।

চুপচাপ টেবিলে এসে বসলো আসিফ ।
তূর্ণা আসবে কবে ?
জানি না ।
কাল নিয়ে আসিস ।
কেনো ?
কেনো মানে ??
তূর্ণাকে তোমার কি দরকার ? তুমি অন্য মেয়ে দেখো । আমার না আবার বিয়ে দিবা ?
চোখে পানি চলে আসে শায়লার । ঘর থেকে একটা সাদা প্যাকেট এনে টেবিলে রাখে আসিফ ।
নাও । দেখো । যতো খুশী আমাকে বিয়ে দাও তোমার বংশে কোন সন্তান আর আসবেনা ।
বিস্ফোরিত চোখে রিপোর্ট দেখেন শায়লা । কাঁদতেও যেনো ভুলে যান তিনি ।
আসিফ আবার ঘরে ঢুকে যায় । সারাটা রাত একটু পর পর কেঁদে উঠে রাতজাগা এ দুটি প্রাণী ।

সকালে আসিফ অফিসে যেতেই ঘরে তালা মেরে বের হন শায়লা । নিজেই গিয়ে নিয়ে আসেন তূর্ণাকে ।

৫...

তূর্ণা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে উঠছে । অনেক দূর্বল হয়ে পড়েছিলো সে ।
হঠাত্‍ এক রাতে আসিফ কে ডেকে তোলে তূর্ণা ।
এ্যই শোন !
তুমি ঘুমাওনি ?
উঁহু ।
শরীর আবার খারাপ করবে তোমার । এখন শুয়ে পড়ো ।
করুক শরীর খারাপ ।
এমন করছো কেনো ?
তুমি কি একটা কথা জানো আসিফ ?
কি ?
মা তোমায় আবার বিয়ে দেবেন ভেবেছিলেন ।
তাই নাকি ? কি বলো !
চোখ বড় বড় করে আসিফ ।
সত্যি কখা । মা ঐদিন রাতে বলতে বলতে কাঁদছিলেন ।
উফ্ । তাহলে তো মিস করলাম ।
কি ?
যদি তাই হতো তবে এখন দু পাশে দুইটা বৌ নিয়ে শুতে পারতাম ।
বিছানা খেকে উঠে যায় তূর্ণা । জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে চুপচাপ ।
শুতে এসো তূর্ণা ।
কোন উত্তর ই দেয় না । ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে তূর্ণা । পেছন ফিরে বলে সে , তুমি সত্যিই আরেকটা বিয়ে করতা না ??
কি বলবে আসিফ ? নিজেকে ভীষন অসহায় লাগে তার । দাঁড়ায় গিয়ে তূর্ণার পাশে ।
এসব কি বলো তুমি ?
জানি সব ছেলেরা এক । কেউ সুযোগ পাইলে ছাড়ে নাকি ?
তূর্ণা , শোন ...
কিচ্ছু শুনবো না । আজ যদি এই প্রবলেমটা আমার হতো ..?
হয়নি তো !
হলে তো আর একটা বিয়ে করতা । আমার কথা মনেও রাখতা না ।
স্টপ ইট প্লিইজ ।
চুপ হয়ে যায় তূর্ণা ।

৬....

আট বছর পেরিয়ে গেছে । অনেক কষ্টে তূর্ণাকে বুঝিয়ে একটা মেয়েকে এডপ্ট করেছে আসিফ ।
আশালতা । আসিফ , তূর্ণা , শায়লা সবার চোখের মণি এখন সে । নামটা তূর্ণার ই রাখা । এ বাচ্চাটা যে এডপ্ট করা এখন কাউকে গুলে খাওয়ালেও বিশ্বাস করবেনা । ৭বছরের আশালতা পড়ে হলিক্রস স্কুলে ক্লাস ওয়ানে।
বনানী থেকে হলিক্রস দূর হয়ে যায় বলেই তেজগাঁতে একটা ফ্ল্যট কিনেছে আসিফ । সব গোছগাছ করছে শায়লা আর তূর্ণা মিলে । আশাও মাকে টুকটাক সাহায্য করছে ।
আসিফ চুপচাপ বসে দেখছে । তূর্ণার সাথে গত রাতেও ঝগড়া হয়েছে তার । তাই আপাতত কথা বন্ধ ।
তূর্ণা স্টোর রুম থেকে সব বের করে জড়ো করছে নিচে । সব পুরানো কাগজ , টুকিটাকি বেচে দেবে এখন । বারো বছরের জঞ্জাল ! হঠাত্‍ পেপারের ভেতর থেকে সাদা একটা খাম এসে পড়ে তূর্ণার কোলে ।
CENTRAL HOSPITAL
NAME : MRS. TURNA CHOWDHURY
স্মৃতির অতলে ডুব দিলো তূর্ণা । জীবনেও তো সে সেন্ট্রাল হসপিটালে এডমিট হয়নি । সেন্ট্রাল কেনো ? কোন হসপিটালেই তো হয়নি । তাহলে এটা কিসের খাম ??
খামটা খুলতেই বের হয় একটা সাদা কাগজ । ঐ অভিশপ্ত সাদা কাগজে লেখা কয়েকটা শব্দ মূহুর্তে থামিয়ে দেয় তূর্ণাকে । আশেপাশের কোলাহল , আসিফের কথা , আশালতার হাসি কিছুই তার কানে পৌঁছায় না । নিঃশ্বাসের শব্দগুলোও কেমন বন্ধ হয়ে আসতে চায় তূর্ণার । এক একটা অক্ষর যেনো আঘাত করে যায় তার সত্তাকে ।
তখনি ঘরে ঢোকে আসিফ ।
দুইটা বাজে । খাবার কি আদৌ দেয়া হবে টেবিলে ??
থর থর করে কাঁপতে থাকে তূর্ণার শরীর । পড়ে যাবার আগেই তাকে ধরে ফেলে আসিফ ।
অ্যই কি হইছে তোমার ? এমন করতেছো কেনো ?
তুমি মিথ্যা কথা বলছো ? তুমি সবাইকে মিথ্যা বলছো ?
আরে আমি আবার কি মিথ্যা বললাম ?
এটা কি ? বলো এটা কি ?
সাদা কাগজ টা খুলতেই আসিফ ফ্রিজড হয়ে গেলো । ফিরে গেলো সেই রাতে । ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে দেখতে পেলো তূর্ণাকে নিয়ে আসা হয়েছে । সাখে সাখে বিছানার নিচ থেকে তূর্ণার এই রিপোর্টটা সে পুরোনো কাগজের ভিতর রেখে দিয়েছিলো । ভেবেছিলো কাজের বুয়াটা পরদিনই নিয়ে যাবে । এসব জিনিস তো তূর্ণা ছোঁয় না ! তাহলে এতো বছর পর এটা এখনো.... রাগে নিজের হাতটাই কামড়াতে ইচ্ছা করছে আসিফে । ঐরাতে এতো ঢং না করে যদি কাগজটা পুড়িয়ে ফেলতো তবে .....
তুমি কেনো বলনি যে আমি .... আমি ..আমি কখনোই মা হতে পারবো না ...আমার ...
তূর্ণা প্লিজ শান্ত হও । এ তে কি যায় আসে ?
এতে কিছুই যায় আসে না ?
না ।
তাহলে সবাই কে কেনো বলেছো সমস্যা টা তোমার ? আর তোমার ঐ রিপোর্ট গুলো ?
টাকা দিলে সবই হয় তূর্ণা । ওই ফেক রিপোর্ট আমি করিয়ে এনেছিলাম । আমি তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারিনি তূর্ণা । তুমি আমার চোখের সামনে ভেঙে পড়বে আমি দেখতে পারতাম না । তোমাকে কেউ কিছু বলবে , আঙুল তুলে দেখাবে , আজেবাজে কথা শোনাবে আমি সহ্য করতে পারতাম না ।
ঐরাতে তুমি মার কথায় কতটা কষ্ট পেয়েছিলে আমি তো দেখেছি ।
তাই বলে আমার সবটুকু দোষ নিজের করে নিলে তুমি ?
কি বলছো তুমি ? এতে তোমার কি দোষ ! আর যা কিছু করেছি তা আমি আমার জন্যই করেছি । আমার ভালোবাসার জন্য ।
কান্নায় ভেঙে পড়ে তূর্ণা । বুকের ভেতর কেমন করে উঠে আসিফের ।জড়িয়ে ধরে তূর্ণাকে ।
আসিফের বুকে মাখা রেখে কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠে তূর্ণা ,
তুমি এতো ভালো কেনো আসিফ ?? এতো ভালো কেনো বাসো আমাকে !
আমি মোটেও ভালো না । তবে এটা সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসি । অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি ।

Post Comment

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন