শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

শাড়ি লুঙ্গী দিলে যাকাত আদায় হয় কি?


যাকাত। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের জন্য একটি অবশ্য পালনীয় (ফরজ) বিধান। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা তথা ধনীদের কাছে যাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত না থাকে এবং সমাজের গরিব শ্রেণীও যাতে দারিদ্র্যমুক্ত হয়, ক্ষুধা চিরতরে দূরীভূত হয় সেজন্যই এই বিধান দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। এই বিধান সংবলিত আয়াতই শুধু অবতীর্ণ করা হয়নি, কীভাবে এ যাকাত সংগ্রহ করা ও বণ্টন করতে তারও রয়েছে সুস্পষ্ট বিধান।

কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের দেশে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, রমজান মাস এলেই বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ব্যানার-ফেসটুন সাঁটানো হয় যাতে লেখা থাকে ‘এখানে যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি পাওয়া যায়’।

শুধু তা-ই নয়, যাকাত দেয়া হবে বলে মাইকিংও করা হয়। ফলে ঘোষণা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষেরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা যাকাত দাতার বাসা-বাড়িতে গিয়ে ভিড় করেন। অধিক সংখ্যক মানুষ একত্রিত হওয়ার ফলে এবং শৃঙ্খলা বিধানের জন্য যথেষ্ট পূর্ব প্রস্তুতি না থাকার কারণে হুড়োহুড়িতে প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এ ফরজটি যেকোনো সময়ই আদায় করা যায়। কিন্তু রমজান মাসে যেকোনো ইবাদতের সওয়াব অন্য সময়ের তুলনায় ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে যাকাতও এ মাসে আদায়ের প্রবণতা রয়েছে। এতে আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু প্রতিবছর সওয়াব কামাইয়ের আয়োজন করতে গিয়ে এতো প্রাণহানি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শুক্রবার এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের শহরের নূরানি জর্দা ফ্যাক্টরিতে। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে ঝরে গেছে ২৫টি তাজা প্রাণ। এদের মধ্যে ২২ জনই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।

কিন্তু ইসলামে যাকাত বণ্টনের বিধান কী? এ বিষয়টি অনেকেরই হয়তো জানা নেই। আর একারণেই ধনীদের মধ্যে এই প্রবণতাটা কমছে না।

যাকাত বণ্টনের ব্যাপারে কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা-
إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡعَٰمِلِينَ عَلَيۡهَا وَٱلۡمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمۡ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَٱلۡغَٰرِمِينَ وَفِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ [عَلِيمٌ حَكِيمٞ [التوبة : 60
অর্থাৎ, সাদাকাহ (যাকাত) তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এটি আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা, আয়াত- ৬০)।

উল্লিখিত খাতেই যাকাত আদায় করতে হবে।

অন্যদিকে রাসূলের (সা.) বিভিন্ন হাদিস থেকে যাকাত গ্রহণ ও বণ্টনের সুস্পষ্ট পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়।
রাসূল (সা.) বলছেনে- تؤخذ من أغنيائهم فترد إلى فقرائهم
অর্থাৎ, তুমি তাদের ধনীদের থেকে যাকাত আদায় করবে অতঃপর তাদের গরিবদের মাঝে তা বিতরণ করবে। (বুখারি- ১৪০১)

এখানে যে বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় তা হলো- যাকাত রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করতে হবে বিত্তবানদের কাছ থেকে এবং তা বণ্টন করতে হবে দরিদ্রদের মধ্যে।

এ নির্দেশনার অংশ হিসেবেই রাসূল (সা.) হযরত মু’আযকে (রা.) ইয়েমেনে পাঠিয়েছিলেন। সেখানকার বিত্তবান লোকদের থেকে যাকাত আদায় করে সেখানকার গরিবদের মধ্যে বিতরণ করার আদেশ দিয়েছিলেন।

এতে বুঝা যায়, যারা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত তারা যাকাত দাতার কাছে গিয়ে গ্রহণ করবেন না বরং তাদের কাছে যাকাত পৌঁছে দিতে হবে। যেমনটি রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন হযরত মু’আযকে (রা.)।

কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু যাকাত আদায় ও বণ্টনের কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেই সেক্ষেত্রে রাসূলের (সা.) যাকাত বণ্টন বিষয়ক হাদিসেরই অনুসরণ করে যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্তদের কাছে নিজ ব্যবস্থাপনায় যাকাত পৌঁছে দিতে হবে বলেই প্রতীয়মাণ হয়। যাকাতের কাপড় দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে দরিদ্র মানুষদের জড়ো করে যাকাত দেয়ার নির্দেশনা ইসলামের কোথাও নেই।

ইসলাম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সত্যিকার অর্থে ইসলাম যে সুফলের জন্য যাকাত ফরয করেছে তা পেতে হলে যাকাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী এর কয়েকটি দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

১. যাকাত আদায় করবে মুলতঃ রাষ্ট্র বা সরকার। দেশের সরকার সংসদে আইন পাস করে আয়কর আদায়ের মতো বাধ্যতামূলকভাবে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের জন্য যাকাত বাধ্যতামূলক করে দেবে। সূরা তওবাতে আল্লাহ সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেন- : خَذُ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تَطَهِّرُهُمْ وَتُزْكِّهِمْ
তাদের ধন-সম্পদ থেকে যাকাত আদায় করে তাদের পবত্রি এবং পরচ্ছিন্ন করে দাও। (সূরা তওবা, আয়াত ১০৩)

অন্যদিকে রাসূল (স.) বলছেনে- تؤخذ من أغنيائهم فترد إلى فقرائهم
তুমি তাদের ধনীদের থেকে যাকাত আদায় অত:পর তাদের গরীবদের মাঝে তা বিতরণ করবে। (বুখারি- ১৪০১)।

যাকাত সংগ্রহের পর সরকার যদি ১০/১৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগুতে থাকে তাহলে দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশের ধনীদের টাকা দিয়েই সম্ভব। বিদেশ নির্ভরতার প্রয়োজন হবে না।

২. যাকাত আদায়ের দ্বিতীয় যে দিকটি বাস্তবায়িত হওয়া উচিৎ তা হলো, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাকাত দিলেও একজন অভাবীকে এতটুকু পরিমাণ যাকাত দেয়া উচিৎ যাতে তার বর্তমান সমস্যার সমাধান হয়। একইসঙ্গে তিনি তার ভবিষ্যৎ চলার একটি পথ বের করতে পারবেন।

দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র থেকে তাকে বের হওয়ার মতো যাকাত দিতে হবে। যেমন: একজন বেকারকে একটি তরকারির দোকান অথবা চাইলে রিকশা কেনার মতো অর্থ দেয়া ইত্যাদি। প্রচলিত শাড়ি আর লুঙ্গি দেয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে হবে।

৩. যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে লোক দেখানো ও নির্বাচনী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসা। কারণ, লোক দেখানো ইবাদত হলো ‘রিয়া’। আর রিয়া ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। অতএব ইবাদত করতে গিয়ে যদি শিরক হয় তাহলে সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে।

৪. যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা উচিৎ সমাজের দারিদ্রপীড়িত ঐসব মানুষকে যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারে না। যাকাত সহায়তা পেয়ে একটি ছেলে/মেয়ে শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠলে তার আলোয় সমাজ আলোকিত হবে, আলোকিত হবে দেশ।

এ প্রসঙ্গে সুরা বাকারার ২৬৪নং আয়াতে এসেছে- আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন ও তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই যাকাত দিতে হবে। জনসমর্থন অর্জন, লোকদের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য কিংবা অন্য কোনো জাগতিক উদ্দেশ্যে যাকাত দেয়া হলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।

Post Comment

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

টাইগারদের ব্যাটিংয়ে এ হাল কেন?


বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগ পর্যন্ত অসাধারন ক্রিকেট খেলছে টিম টাইগার্সরা। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। কিন্তু কেন?

তামিম মুশফিকদের ব্যাট এখন আর হাসছে না কেন? ব্যাটিংয়ে আবার কি পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে ?  না সিলেকশনে ভুল করা হচ্ছে। এখন এমন প্রশ্ন ক্রিকেট প্রেমী সকল মহলে।

এনামুলকে একাদশের বাইরে রেখে লাভ কি হলো? লিটন কি প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছে?

না এ ছাড়া অন্য কোন কারণ আছে?

ক্রিকেটের অন্যতম পরামক্তি পাকিস্তানকে হোয়াইয়াশ ও ভারতকে সিরিজ হারানোর আনন্দে আত্নহারা ক্রিকেটাররা? যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোন খেলায় প্রতিধন্দ্বীতা পর্যন্ত করতে পারছে না কেন?

আজকের ম্যাচে ভাগ্যদেবীর সহায়তায় টসে জিতে ব্যাটিং নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। টানা বৃষ্টির কারণে দুদিন উইকেট ছিল ঢাকা। সূর্য্যরে আলো একটুও উইকেটে পড়েনি। সেই উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়াটা খানিকটা বোকামি!

ধারাভাষ্যকক্ষে বসে প্রাক্তন ক্রিকেটার আতাহার আলী যেন সেই কথাটাই বললে,‘দুদিন ধরে যেই উইকেটে ঢাকা ছিল। কেউ দেখতে পারেনি। সেই উইকেটে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন। স্বাভাবিকভাবেই পেসাররা বাড়তি পেস ও বাউন্স পাবে।’

ফলাফল বাংলাদেশ ১৬০ রানেই অলআউট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে মাত্র ২ উইকেট হারায়। ৮ উইকেটের জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সহজেই ১-০ এ এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

আতাহারের কথা ভুল প্রমাণ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষিক্ত পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রোটিয়াদের ১১৪তম ওয়ানডে ক্রিকেটার নিজের প্রথম স্পেলে তুলে নেন ৪ উইকেট, পরে নেন আরও ২টি। প্রথম স্পেলে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক তুলে নেন রাবাদা। তামিম, লিটন ও মাহমুদউল্লাহর উইকেট নেন পরপর তিন বলে। এই পেসারের আগে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

রাবাদার গতিতে বাংলাদেশের রান যখন ৪ উইকেটে ৪০, সেখান থেকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন। স্কোরকে ৯৩ পর্যন্ত টেনে নেন।  মুশফিক ২৪ রানে ডুমিনির বলে আউট হয়ে গেলে সাকিব ব্যাট চালিয়ে যান। অপরপ্রান্তে থাকা সাব্বির রহমানও ৫ রানে মুশফিকের পথ অনুসরণ করেন।

দলীয় ১২০ রানে সাকিব আল হাসান ইমরান তাহিরের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে বাংলাদেশের বড় স্কোরের সম্ভবনা কমে যায়। সাকিব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ৫১ বলে। ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির মার।

শেষ দিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাসিরের ৩১ রানে ভর করে ১৬০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুর মত লেজটাও গুঁড়িয়ে দেন রাবাদা। দ্বিতীয় স্পেলে ২ উইকেট নিয়ে ওয়ানডের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডও তৈরী করেন ডানহাতি এই পেসার।  ৮ ওভারে ৩ মেডেনে মাত্র ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ শিবির একাই ধসিয়ে দেন অভিষিক্ত এই পেসার। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

স্কোরবোর্ডে ১৬০ রানের পুঁজি নিয়েও লড়াকু বাংলাদেশ! তিন নম্বরে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত করেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি। ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক হাশিম আমলাকে (১৪)।  শুরুতেই উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়েছিল সফরকারীরা। নিখুঁত বোলিংয়ের পাশাপাশি চোখ-ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ সমানতালে লড়াই করছিল। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিল না।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ফাফ ডু প্লিসিস ও কুইন্টন ডি কক। নাসির দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ডি কককে ফিরিয়ে। ৪১ বলে ৩৫ রান করে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ডি কক।

সেখানেই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ। অভিজ্ঞ ফাফ ডু প্লিসিস মাথা ঠান্ডা রেখে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় তা যেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের শিখিয়ে দিলেন। উইকেটে থিতু মেরে থেকে বাজে বলগুলো শাসন করলেন মনের মত করে। আর ভালো বলগুলোকেও দিলেন প্রাপ্য সম্মান।

দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। নামের পাশে যোগ করেন ৬৩ রান। সঙ্গে ছিলেন রিলে রুশো। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। শতরানের জুটি বেধে মাঠ ছাড়েন এই দুই প্রোটিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের নায়ক কাগিসো রাবাদা।

এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট-ওয়াশ হয় মাশরাফি এন্ড কোং। এরপর প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। এই বৃত্ত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তিদের।

একই মাঠে ১২ জুলাই দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।  দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা তাই দেখার বিষয়।

Post Comment