শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের জয়জয়কার

আরও একবার বাঘের গর্জন শুনল ক্রিকেট বিশ্ব। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফিদের এই গর্জনেই কুপোকাত ভারত। বৃহস্পতিবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৭৯ রানে হারিয়ে দোর্দন্ড প্রতাপে শুরু করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেই সঙ্গে সাকিব-মুশফিকরা আরেকবার প্রমাণ করল বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন ভয়ংকর এক শক্তিশালী দলেরই নাম।
বাংলাদেশ যে এখন ভয়ংকর এক ক্রিকেট দল, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও তা অকপটে স্বীকার করছে আজ। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর অনীহাটা নিয়মিতই চোখে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাংলাদেশের সাফল্যটাকে সবসময়েই ভিন্ন চোখে দেখার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর পর মিরপুরের ওয়ানডে জয় যেন সব চিত্রনাট্যকেই বদলে দিল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাশরাফিদের দারুণ জয়ের পর ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ শিরোনাম দিয়েছে ‘ছোট্ট বাংলাদেশই এখন ভয়ংকর।’
এছাড়াও বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম ম্যাচের পর। যেখানে বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে তারা। হিন্দুস্থান টাইমস শিরোনামে লিখেছে, ‘এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।’
কলকাতার দৈনিক আজকাল শিরোনাম করেছে, ‘পদ্মাপারে উচ্ছ্বাসের সুনামি।’ দৈনিক এই সময় লিখেছে, ‘বাঙালি বাঘের থাবায় ক্ষতবিক্ষত ভারত।’
দৈনিক এবেলা মুস্তাফিজুরের প্রশংসা করে শিরোনাম দিয়েছে, ‘অভিষেকেই নায়ক।’ এনডিটিভি স্পোর্টস শিরোনাম করে, ‘ভারতকে রক্তাক্ত করলো বাংলাদেশ’

Post Comment

মধুর প্রতিশোধ

উন্মোচনঃ মাশরাফি বিন মুর্তজার উদযাপনটাই বলে দিচ্ছিল সব!
মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে রোহিত শর্মা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল চলে গেল মিড অফ। সহজ ক্যাচ মাশরাফির, দানবীয় উল্লাস! সেই উল্লাসের পিছনে নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছে গত ১৯ মার্চের স্মৃতি। মেলবোর্নে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেদিন বাংলাদেশের স্বপ্ন চুরি করেছিল এই ভারত, বাজে আম্পায়ারিংয়ের সুবাদে।
আর সেদিনের সেই বিতর্কিত ‘নো-বল’-এর সাথে জড়িয়ে আছে এই রোহিত শর্মার নাম। রুবেল হোসেনের বলে সেদিন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নো না ডাকলে ইতিহাসটা হয়তো লেখা হতে পারতো ভিন্ন ভাবে।
এবার আর ‘জোর’ করে ইতিহাস বদলে দিতে পারেনি ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির ‘অখেলোয়াড়োচিত’ কনুইয়ের ধাক্কায় কুপোকাত হন নি মুস্তাফিজুর রহমান। সবিনয়ে দু:খিত বলে নিজেকে শাঁনিয়ে নিয়েছেন মাঠের লড়াইয়ের জন্য। দিন শেষে ৫০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে নায়ক হয়ে গেছেন ১৯ বছরের মুস্তাফিজ।
ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতে গেল ৭৯ এর বড় ব্যবধানে। হয়ে গেল ইতিহাসে; বিশ্বকাপ-প্রতিশোধটা এর চেয়ে ভাল ভাবে খুব সম্ভবত নেয়া যেত না! দেশের মাটিতে এটা বাংলাদেশের টানা নবম জয়।
বাংলাদেশের দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিটা মাশরাফিদের বুকে ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সেটা শেষ হয়ে যাওয়ার পেছনে ছিল একটা ‘জুয়া’। চার পেসার খেলানো দু:সাহস। আর তাতে বিনা উইকেটে ৯৫ রান থেকে ২০ রানের মধ্যে পড়লো ‘বিখ্যাত’ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের চারটি উইকেট।
১২৮ রানের মাথায় ভারতের ‘ম্যাচ উইনার’ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান।
বাকিটা সময় শুধু পেসারদের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে অভিষিক্ত মুস্তাফিজুর রহমানের। ইতিহাসের মাত্র ১০ জন বোলার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েন। আর মুস্তাফিজকে নিয়ে এই তালিকায় বাংলাদেশি দাঁড়ালো দু’জন।
ঠিক এক বছর দুই দিন আগে এই ভারতের বিপক্ষে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। সেটাই অভিষেক ম্যাচে কোন বাংলাদেশি বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। মুস্তাফিজ তাসকিনকে পারফরম্যান্সের দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও দলকে জয় তো এনে দিলেন। এদিক দিয়ে অন্তত তাসকিনকে ছাড়িয়ে গেলেন মুস্তাফিজ!
এর আগে টস ভাগ্যে জিতেছিলেন মাশরাফিই। সর্বশেষ যে ১২ ম্যাচে টসে জিতেছিলেন তার মধ্যে আটটিতেই প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন, তার সবগুলোতেই ম্যাচ জিতেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৩ ওভার চার বলে চলে এসেছিল ১০২ রান। এরপরই ছোট্ট একটা ধস ১৪৬ রান হতে না হতেই চলে গেল বাংলাদেশের চারটি উইকেট।
এরপর হাল ধরলেন সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান রুম্মান। তাদের ৮৩ রানের জুটিতে শেষ অবধি বড় স্কোর গড়ার স্বপ্নটা সত্যি হয় বাংলাদেশের। তবে, লোয়ার মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডাররা সেই ধারাবাহীকতা ধরে রাখতে পারেননি।
শেষ অবধি দুই বল বাকি থাকতে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ৩০৭ রান করে। যদিও এটাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
এর আগে পাঁচ বছর আগে এই ঢাকাতেই ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ২৯৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেদিক থেকে ভারতের বিপক্ষে এবারই প্রথমবারের মত ৩০০-এর বেশি রান করলো বাংলাদেশ। আর নবম বার ওয়ানডেতে কোন দলের বিপক্ষে ৩০০ রানের বেশি করলো বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ ৬২ বলে ৬০ রান আসে ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। এছাড়া সৌম্য ৫৪ ও সাকিব ৫২ রান করেন। সাব্বিরের ৪১ কিংবা অধিনায়ক মাশরাফির ১৮ বলে ২১ রানকেও মনে রাখতে হবে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর দুটি করে উইকেট নেন ভূবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব।
আর বাকিটা সময় ইতিহাস। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন উমেশ যাদব; মাশরাফি-তাসকিনে চিরচেনা সেই ‘ম্যাশকিন’ উদযাপন!
এই তো সেই বাঁধিয়ে রাখার মত এক জয়, মনে রাখার মত এক জয়। আজ বাতাশে প্রতিশোধের গন্ধ; মধুর প্রতিশোধ!
সুত্রঃ প্রিয় 

Post Comment

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

 টেস্ট শেষ হওয়ার একদিন আগেই ঘোষণা করা হয়ে গেল ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের জন্য বাংলাদেশ দল। আর ১৮ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজের জন্য বড় একটা চমকই দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা।
সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন মুস্তাফিজুর রহমান। গত এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। ডট বলই ছিল ১৬টা! একটিও চার হজম করতে হয়নি তাকে।
ইনজুরি কাটিয়ে সুযোগ পাননি এনামুল হক বিজয়। এছাড়া আছেন ফতুল্লা টেস্টে অভিষিক্ত ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস। সুযোগ পাচ্ছেন রনি তালুকদার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকা আবুল হোসেন রাজু বাদ পড়েছেন।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, আরাফাত সানি, মুমিনুল হক সৌরভ, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), নাসির হোসেন, রনি তালুকদার, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান রুম্মান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

Post Comment

৪০টি ছবি জানিয়ে দেবে "দুবাই" পৃথিবীর সবচাইতে বিচিত্র ও ধনী মানুষদের শহর (পর্ব ১)

টাকা নয়, এই মেশিন দিয়ে বের হয় সোনা!
আকাশে টেনিস খেলার ব্যবস্থা!
ট্র্যাফিক জ্যামের প্রতিটি গাড়িই বিলাস বহুল, যা আমাদের দেশে কালে ভদ্রে চোখে পড়ে
পোষা সিংহের পিঠে!
এয়ারপোর্টে অবহেলায় পড়ে আছে এত দামী গাড়ি!
হেলিকপটার করে নেয়া হচ্ছে গাড়িকে
পারকিং লটে গাড়ির পাশে উটও "পার্ক" করে রাখা!
মালিকের গাড়িতে পোষা সিংহ
এই বিলাস বহুল গাড়ি ব্যবহার করেন দুবাই পুলিশেরা!
না, ফ্ল্যাট নয়। বাথরুম!
আর এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো দুবাই ফায়ার সার্ভিসের
পোষা চিতা বাঘ নিয়ে বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে
যে দেশে সোনার কোন মূল্যই নেই!
পৃথিবীর সবচাইতে বড় শপিং মল!
১২০০ ডলারেরও বেশী মূল্যের এই কাপকেকটি পৃথিবীর সবচাইতে দামী কেক। খাওয়ার যোগ্য সোনায় তৈরি!
পোষা সিংহীর সাথে খেলাধুলা!
পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের বাগান, মরুভুমির বুকে!
সোনায় তৈরি এস ইউ ভি!
এই সমস্তই হচ্ছে সাগরের বুকে তৈরি কৃত্রিম দ্বীপ!
সোনায় মোড়ানো মোবাইল ফোন
সত্যি কথা বলতে কি, দুবাই কতটা বিচিত্র একটা শহর সেটা ভাষায় বুঝিয়ে বলা খুবই কঠিন। দুবাইয়ের জনগণের যা আছে, সেটা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। আর এই টাকা প্রদর্শনকরতে মোটেও কার্পণ্য করে না তাঁরা। আমাদের কাছে যেগুলো অসম্ভব, তাঁদের কাছে সেগুলোই নিত্য দিনের ব্যাপার। ATM মেশিন থেকে যদি টাকার বদলে সোনা বের হয়, খটখটে মরুভূমির মাঝে যদি থাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের বাগান, আকাশে যদি হয় টেনিস খেলার ব্যবস্থা, সোনা দিয়ে যদি তৈরি করা হয় গাড়ি ও মোবাইল ফোন, কিংবা বাঘ-শিংহের মত ভয়ানক প্রানীকে যদি পোষা হয় বেড়ালের মত- সেগুলো দেখতে কেমন লাগবে আপনার? দেখে নিন দুবাইয়ের চোখ ধাঁধানো এমন কিছু ছবি, যেগুলো আপনাকে রীতিমত ধাঁধায় ফেলে দেবে। হলফ করে বলা যায়, এই ছবিগুলো আপনি আগে কখনোই দেখেন নি!
প্রতিটি ছবির সাথে আছে বিবরণ। ছবিগুলো বড় আকারে দেখতে ও বিবরণ পড়তে ক্লিক করুন প্রতিটি ছবিতে। আজকের পড়বে রইলো ২০ টি ছবি। আগামী পড়বে পাবেন আরও ২০টি ছবি
সুত্রঃ প্রিয় ডট কম 

Post Comment