শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কি?


আমরা অনেকেই মনে করি বন্ধুত্ব মানে শুধু সহায়ক বা উপকারী( helpful man) কোন ব্যক্তি। আসলে বন্ধুত্বের মানে কি তাই? একে অপরের উপকারী হবে তা ছাড়া আর কিছু নয়? প্রকৃতপক্ষে বন্ধুত্ব বলতে কি বোঝায় শুধু সাহায্যকারী না অন্য কিছু??

বন্ধুত্ব কি?
বন্ধুত্ব হচ্ছে দুই অথবা তার অধিক কিছু মানুষের মধ্যে একটি সম্পর্ক বিশেষ যাদের একে অপরের প্রতি পারস্পরিক স্নেহ রয়েছে। বন্ধুত্বকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের খুব কাছের একটি অংশ ধরা হয়। দার্শনিক এমারসন বলেছেন, একজন বন্ধু হচ্ছেন প্রকৃতির সবচেয়ে বড় মাস্টারপিস। বন্ধুত্বের গুরুত্ব উপলব্ধি করার জন্যে কবি বা দার্শনিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনার আনন্দ এবং দুঃখে আপনার পাশে কেউ না থাকলে আনন্দ যেমন বহুলাংশে মাটি হয়ে যায়, তেমনি দুঃখও সহজে হালকা হয় না। মানুষ যখন বেদনাভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে তখন বন্ধুর কাছ থেকে সে প্রথম সান্ত্বনা পায়, আর যখন আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে তখন এ আনন্দের খবর সে প্রথম বন্ধুকেই জানায়। বন্ধুত্বের সাথে যেহেতু আবেগের ব্যাপার জড়িত সেহেতু বন্ধুত্ব আনন্দের সাথে সাথে সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই বন্ধুত্বের সংজ্ঞা, বন্ধুর কাছ থেকে কতটুকু চাওয়া ও পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকলে ভুল বোঝাবুঝির বা সমস্যার পরিমাণ অনেক কমে যেতে পারে। 

ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা একে অন্যের জীবনের সবকিছুতেই ভাগীদার হবে:
সাধারণভাবে এ ধারণা প্রচলিত হলেও আধুনিক নগরজীবনে এ ধারণা বাস্তবসম্মত নয়। অধিকাংশের কর্মজীবনের বন্ধু এবং পারিবারিক বন্ধু ভিন্ন। আবার পড়শীদের সাথে যে বন্ধুত্ব তা-ও আলাদা। শখ বা আগ্রহের ভিত্তিতে যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তা-ও আলাদা। আবার ধর্মচর্চার বেলায় দেখা যায় সম্পূর্ণ আলাদা কারোর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব এক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, জীবনের সব ব্যাপারেই দুই ব্যক্তির মধ্যে আগ্রহের মিল হওয়া খুব দুর্লভ ব্যাপার। এমনকি আপনার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও এমন কিছু আগ্রহ ও শখ থাকতে পারে যেগুলোর সাথে আপনার আগ্রহের আদৌ মিল নেই। তাছাড়া সদানির্ভরযোগ্য বন্ধুত্ব কামনা, শিশুসুলভ নিরাপত্তাহীনতাবোধেরই প্রকাশ। একজন বন্ধুর উপর পুরোপুরি নির্ভরতা অনেক সময়ই দুঃখের কারণ হতে পারে। অপরপক্ষ তার সামাজিক পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করলেই প্রথম পক্ষকে দুঃখবোধে পেয়ে বসতে পারে। তাই একক বন্ধুত্বের চেয়ে একাধিক বন্ধুত্ব সব সময়ই আবেগগতভাবে ভাল।

সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে আজীবন বন্ধুত্ব:
এ ধারণা সবসময় ঠিক নয়। তবে এখন ভার্চুয়াল জগতের কারণে বন্ধুত্ব আজীবন টিকিয়ে রাখার সুযোগ রয়েছে। ছোটবেলায় যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে, শিক্ষাজীবনে যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে, কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর তার অধিকাংশই হারিয়ে যায়। আবার বাসস্থান পরিবর্তনের কারণেও পুরানো বন্ধুত্বের জায়গায় নতুন বন্ধুত্বের সৃষ্টি হয়। কর্মজীবী মহিলাদের বেলায় এ ব্যাপারটি আরও সুস্পষ্ট। কর্মজীবনে বা শিক্ষাজীবনে অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়, কর্ম ও শিক্ষাজীবন ত্যাগ করে পুরোপুরি গৃহিণী হয়ে গেলে তখন বন্ধুত্বের আওতা পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে। তবে এ ধরনের খণ্ডকালীন বন্ধুত্বকেও কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোন প্রয়োজন নেই। জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কালে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রয়োজনীয় ও আনন্দদায়ক বন্ধুত্ব হতে পারে।

বন্ধুত্বের যোগ্যতা যাচাইয়ে নিচের বিষয়গুলি আবশ্যকঃ
# পারস্পরিক বিশ্বাস
# একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করা
# সহানুভূতি থাকা
# পারস্পরিক চিন্তাভাবনা ও মূল্যবোধের গুরুত্ব দেওয়া, কম্প্রোমাইজ করার ক্ষমতা থাকা, মানসিক সমর্থন দেওয়া
# অন্যের ভাল কীভাবে হবে এই বাসনা থাকা
# কঠিন সত্যের স্বীকার করে হলেও নিজের সততার প্রমাণ দেওয়া।
# প্রয়োজনে সবার জন্য ইতিবাচক, গভীর কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করা
# তুমি কি করতেছ এটা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে কোন সংশয় না থাকা।
# একে অপরের সাথে ঝগড়া করলে বা মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে, সহনোভুতির সাহয্যে তা মিটিয়ে ফেলা।


বন্ধুত্ব প্রকারভেদ:
বন্ধু হচ্ছে যাদের আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি, এবং যারা আমাদের সামাজিকভাবে এবং আবেগের জন্য পছন্দের। সাধারণত বন্ধু হয় এমন যারা আমাদের নিজেদের মত হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বন্ধু হিসেবে এমন ব্যক্তি খোঁজে যারা: 
# একসঙ্গে বড় হয়েছে
# অনুরূপ পেশাতে কাজ করছে
# সমবয়স্ক শিশুদের বাবা-মা
# একই ব্যাপারে আগ্রহ আছে এমন ব্যক্তি
# সাধারণত একই বয়স এবং একই লিঙ্গ

প্রাপ্তবয়স্কদের ৩ বা তার বেশি ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং ১০ বা তার বেশি বন্ধু থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের বন্ধু একই সংখ্যক আছে কিন্তু,, মহিলাদের পুরুষদের তুলনায় বন্ধুত্ব বেশি নির্ভরশীল হতে দেখা যায়। তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বন্ধুত্ব স্থায়ী হয় বেশি

বন্ধুত্বের বিকাশ:
ব্যক্তির মানসিক বিকাশের আগে, বন্ধুত্ব এবং পরে পিতামাতার আনুগত্য পক্কতার অভিগমন এ প্রবৃত্ত আসে। শৈশবের সমাপ্তি এবং পূর্ণ সাবালকত্ব সূত্রপাত মধ্যে তফাৎ সময়কালে, বন্ধুত্ব প্রায়ই মানসিক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কিশোর এবং প্রায়ই সম্পর্ক পরে জীবনের চেয়ে আরো তীব্র। যাইহোক, বন্ধু তৈরীর ব্যক্তিদের অনেক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে; থাকার কোনো বন্ধু নেই কিছু ক্ষেত্রে আবেগের ক্ষতিকর হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুত্ব আগের বন্ধুত্তের চেয়ে বেশি স্থায়ী।

বন্ধুত্ব সম্পর্কে ইসলাম: 
এবার দেখা যাক বন্ধুত্ব সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'মুমিনগণ যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এমনটি করবে, আল্লাহ তাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখবেন না। হাদিসে বলা হয়েছে, 'মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। সুতরাং বন্ধু নির্বাচনের সময় খেয়াল করা উচিত সে কাকে বন্ধু বানাচ্ছে।' পবিত্র কোরআন ও হাদিসের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো যে, সব ধরনের লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাকে ইসলাম সমর্থন করে না।

রাসূল (সা.) বলেছেন, 'দুনিয়াতে যার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রয়েছে, পরকালে তার সঙ্গেই হাশর হবে ।' এ জন্য বন্ধু নির্বাচনের আগে তাকে পরীক্ষা করে নেয়া জরুরি। ইমাম গাযযালী (রহঃ) বলেন, 'সবাইকে বন্ধু নির্বাচন করা যাবে না, বরং ৩টি গুণ দেখে বন্ধু নির্বাচন করা উচিত। গুণ তিনটি হল-

১. বন্ধুকে হতে হবে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ

২. বন্ধুর চরিত্র হতে হবে সুন্দর ও মাধুর্যময় এবং

৪. বন্ধুকে হতে হবে নেককার ও পুণ্যবান

' ফরাসী এক প্রবাদে বলা হয়েছে, 'বন্ধুত্ব হলো তরমুজের মতো। ভালো একশটিকে পেতে হলে এক কোটি আগে পরীক্ষা করে দেখতে হয়।'

ইরানের বিখ্যাত মনীষী শেখ সাদী (রহঃ) বলেছেন, 'সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।' এ উক্তির মূলকথা হচ্ছে, একজন উত্তম বন্ধু যেমন জীবনের গতি পাল্টে দিতে পারে, তেমনি একজন অসৎ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দিতে পারে । তাই যাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে তাকে আগেই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।

বিশ্ব বিখ্যাত মনীষীরা বন্ধুত্বকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন।

মোদ্দা কথা, মানুষ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে একজন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন অনুভব করে। কারণ, একজন প্রকৃত বন্ধু জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অংশীদার হয়। প্রকৃত বন্ধুই পারে আত্মার আত্মীয় হয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দুঃখ-কষ্টকে ভুলিয়ে রাখতে। বন্ধুতের একটা বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে দুষ্টামী। যা অস্বীকার করার সুযোগ কোন নেই।

প্রাচীন প্রবাদে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হতো- ‘সম্পর্ক যখন জ্বরে পুড়ে তখন তার নাম হয় ভালবাসা, আর ভালবাসা যখন জ্বরে পুড়ে তার নাম হয় বন্ধুত্ব।' 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেছেন, ‘দু'টি দেহে একটি আত্মার অবস্থানই হলো বন্ধুত্ব।' 
এমারসন বলেছেন, 'প্রকৃতির সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির নাম বন্ধুত্ব।' নিটসে বলেছেন, 'বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে একটি গুপ্তধন পেলো।'

Post Comment

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন? ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী


ব্লগার নিলয় নীল-এর (নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়) গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। নিলয়ের আত্মীয় স্বজনরা তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। এমন কি তারা আশা মনির ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন। তার ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী।

শনিবার সকলের নিলয়ের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকাবাসীরা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের কাছে নিলয় ছিল হারাধনের একটি মানিকের মতো। মেধাবী শান্ত স্বভাবের এ ছেলেটি এলাকার মানুষের কাছেও ছিল প্রিয়।

নিলয়ের একমাত্র বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই বোন একে অপরের বন্ধু ছিলাম, আমার ভাই কখনও বলেনি সে বিয়ে করেছে। স্ত্রী হিসেবে যাকে আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন তার বয়স আমার ভাইয়ের থেকে অনেক বেশি। কী করে আমার ২৭ বছর বয়সী ভাইয়ের স্ত্রী হলো।’ 

নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না নিলয় বিবাহিত ছিল। সে যদি বিবাহিত স্ত্রী হতো তার গায়ে কোনো আঁচড় লাগলো না। একটু রক্তের দাগ লাগলো না! এটা কি করে হয়? পুলিশ যখন ওর লাশ ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তখনও তো ওই মহিলা কাছে যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ খুনের সাথে ওই মহিলা জড়িত থাকতে পারে। নিলয়ের হত্যার আগে পরে আমাদের ফোনও তো দিতে পারতো।’ নিলয়ের ছোট কাকি শ্যামা দত্ত প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘আমাদের ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারেনি, আমাদের ছেলের অভিযোগও নেয়নি, তাদের বলেন, ওই মহিলাকে (আশা মনি) গ্রেপ্তার করতে। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে আমরা তো আর ফিরে পাবো না। সরকারের কাছে দাবি ন্যায় বিচারটুকু যেন আমরা পাই।’ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কখন কোথায় কীভাবে সৎকার করা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে তারা কিছু বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মরদেহ পৌঁছানোর পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুনুন নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তীর বক্তব্য।ব্লগার নিলয় নীল-এর (নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়) গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। নিলয়ের আত্মীয় স্বজনরা তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। এমন কি তারা আশা মনির ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন। তার ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী।

শনিবার সকলের নিলয়ের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকাবাসীরা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের কাছে নিলয় ছিল হারাধনের একটি মানিকের মতো। মেধাবী শান্ত স্বভাবের এ ছেলেটি এলাকার মানুষের কাছেও ছিল প্রিয়।

নিলয়ের একমাত্র বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই বোন একে অপরের বন্ধু ছিলাম, আমার ভাই কখনও বলেনি সে বিয়ে করেছে। স্ত্রী হিসেবে যাকে আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন তার বয়স আমার ভাইয়ের থেকে অনেক বেশি। কী করে আমার ২৭ বছর বয়সী ভাইয়ের স্ত্রী হলো।’ 

নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না নিলয় বিবাহিত ছিল। সে যদি বিবাহিত স্ত্রী হতো তার গায়ে কোনো আঁচড় লাগলো না। একটু রক্তের দাগ লাগলো না! এটা কি করে হয়? পুলিশ যখন ওর লাশ ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তখনও তো ওই মহিলা কাছে যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ খুনের সাথে ওই মহিলা জড়িত থাকতে পারে। নিলয়ের হত্যার আগে পরে আমাদের ফোনও তো দিতে পারতো।’ নিলয়ের ছোট কাকি শ্যামা দত্ত প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘আমাদের ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারেনি, আমাদের ছেলের অভিযোগও নেয়নি, তাদের বলেন, ওই মহিলাকে (আশা মনি) গ্রেপ্তার করতে। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে আমরা তো আর ফিরে পাবো না। সরকারের কাছে দাবি ন্যায় বিচারটুকু যেন আমরা পাই।’ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কখন কোথায় কীভাবে সৎকার করা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে তারা কিছু বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মরদেহ পৌঁছানোর পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুনুন নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তীর বক্তব্য। 
দেখুন নিলয়ের মাসীর ব্যাখ্যা

Post Comment

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫

ব্লগার নিলয়ের বিয়ের খবর জানে না পরিবার, স্ত্রী শালিকা অস্বীকার


ব্লগার নিলয় নীল আটমাস আগে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঈদের এক সপ্তাহ পর বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। তাকে ঢাকায় ফিরতে নিষেধ করেছিলেন তার মা। কিন্তু বিসিএসের প্রস্তুতির কথা বলে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। আর তার বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা দাবি করেন,‘নিলয় বিয়ে করেছে এই খবর আমরা জানিনা’।

জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘বলা হচ্ছে আমার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তার শ্যালিকা আছে। কিন্তু এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমরা জানি আমার ভাই এখন পর্যন্ত বিয়েই করেনি।’ সংবাদ মাধ্যমের খবরকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন,‘ আমার ভাই বিয়ে করলে আমরা জানবনা?’

তবে রাজধানীর গোড়ানের বাসায় নিলয় স্ত্রী সহ থাকতেন। হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে যে মামলা হয়েছে তার বাদী আশামনি। তিনি নিলয়ের স্ত্রী হিসেবে মামলাটি করেছেন। আশামনির বাবার নাম শামসুদ্দিন। মামলার এজাহারে নিলয় নীলের নাম লেখা হয়েছে নীলাদ্রি চ্যাটার্জি। বাবার নাম তারাপদ চ্যাটিার্জি।

নিলয়ের গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে। তার মা অপর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো দিন কারো কোনো ক্ষতি করে নাই। আমার এমন নিরপরাধ ছেলেকে এভাবে হত্যা করল কারা?’ ছেলে হারানোর শোকে বিহ্বল মা বিলাপ করতে করতে একটু পরপরই মূর্ছা যাচ্ছিলেন। আর বলছিলেন,‘‘আমার এখন কী হবে? তোমরা আমাকে একটু বিষ এনে দাও। ওরে ঢাকায় ফিরে যেতে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে বসে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে।’
বাবা তারাপদ চট্টোপাধ্যায় শোকে যেন নির্বাক হয়ে গেছেন।

নিলয় চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তেজদাসকাঠি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যামিক পাস করেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বাবা সাধারণ গৃহস্থ হলেও বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই শিক্ষক-আইনসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এলাকাবাসী জানান, নীলাদ্রি সবার কাছেই খুব ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল।

নিলয়ের বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের এলাকায় কোনো শত্রু ছিল না। সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ আট মাস পরে সে বাড়ি আসে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো তা আমরা জানি না। আমরা চাই, সরকার এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করুক। না হলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে না।
দেখুন ভিডিওতে

Post Comment

শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫

শাড়ি লুঙ্গী দিলে যাকাত আদায় হয় কি?


যাকাত। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের জন্য একটি অবশ্য পালনীয় (ফরজ) বিধান। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা তথা ধনীদের কাছে যাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত না থাকে এবং সমাজের গরিব শ্রেণীও যাতে দারিদ্র্যমুক্ত হয়, ক্ষুধা চিরতরে দূরীভূত হয় সেজন্যই এই বিধান দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। এই বিধান সংবলিত আয়াতই শুধু অবতীর্ণ করা হয়নি, কীভাবে এ যাকাত সংগ্রহ করা ও বণ্টন করতে তারও রয়েছে সুস্পষ্ট বিধান।

কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই আমাদের দেশে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, রমজান মাস এলেই বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ব্যানার-ফেসটুন সাঁটানো হয় যাতে লেখা থাকে ‘এখানে যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি পাওয়া যায়’।

শুধু তা-ই নয়, যাকাত দেয়া হবে বলে মাইকিংও করা হয়। ফলে ঘোষণা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষেরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা যাকাত দাতার বাসা-বাড়িতে গিয়ে ভিড় করেন। অধিক সংখ্যক মানুষ একত্রিত হওয়ার ফলে এবং শৃঙ্খলা বিধানের জন্য যথেষ্ট পূর্ব প্রস্তুতি না থাকার কারণে হুড়োহুড়িতে প্রাণহানি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এ ফরজটি যেকোনো সময়ই আদায় করা যায়। কিন্তু রমজান মাসে যেকোনো ইবাদতের সওয়াব অন্য সময়ের তুলনায় ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে যাকাতও এ মাসে আদায়ের প্রবণতা রয়েছে। এতে আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু প্রতিবছর সওয়াব কামাইয়ের আয়োজন করতে গিয়ে এতো প্রাণহানি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

শুক্রবার এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের শহরের নূরানি জর্দা ফ্যাক্টরিতে। যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে ঝরে গেছে ২৫টি তাজা প্রাণ। এদের মধ্যে ২২ জনই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।

কিন্তু ইসলামে যাকাত বণ্টনের বিধান কী? এ বিষয়টি অনেকেরই হয়তো জানা নেই। আর একারণেই ধনীদের মধ্যে এই প্রবণতাটা কমছে না।

যাকাত বণ্টনের ব্যাপারে কোরআনের স্পষ্ট ঘোষণা-
إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡعَٰمِلِينَ عَلَيۡهَا وَٱلۡمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمۡ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَٱلۡغَٰرِمِينَ وَفِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ [عَلِيمٌ حَكِيمٞ [التوبة : 60
অর্থাৎ, সাদাকাহ (যাকাত) তো কেবল নিঃস্ব, অভাবগ্রস্ত ও যাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, যাদের মনোরঞ্জন উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জিহাদকারী ও মুসাফিরের জন্য। এটি আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা, আয়াত- ৬০)।

উল্লিখিত খাতেই যাকাত আদায় করতে হবে।

অন্যদিকে রাসূলের (সা.) বিভিন্ন হাদিস থেকে যাকাত গ্রহণ ও বণ্টনের সুস্পষ্ট পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়।
রাসূল (সা.) বলছেনে- تؤخذ من أغنيائهم فترد إلى فقرائهم
অর্থাৎ, তুমি তাদের ধনীদের থেকে যাকাত আদায় করবে অতঃপর তাদের গরিবদের মাঝে তা বিতরণ করবে। (বুখারি- ১৪০১)

এখানে যে বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় তা হলো- যাকাত রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করতে হবে বিত্তবানদের কাছ থেকে এবং তা বণ্টন করতে হবে দরিদ্রদের মধ্যে।

এ নির্দেশনার অংশ হিসেবেই রাসূল (সা.) হযরত মু’আযকে (রা.) ইয়েমেনে পাঠিয়েছিলেন। সেখানকার বিত্তবান লোকদের থেকে যাকাত আদায় করে সেখানকার গরিবদের মধ্যে বিতরণ করার আদেশ দিয়েছিলেন।

এতে বুঝা যায়, যারা যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত তারা যাকাত দাতার কাছে গিয়ে গ্রহণ করবেন না বরং তাদের কাছে যাকাত পৌঁছে দিতে হবে। যেমনটি রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন হযরত মু’আযকে (রা.)।

কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু যাকাত আদায় ও বণ্টনের কোনো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেই সেক্ষেত্রে রাসূলের (সা.) যাকাত বণ্টন বিষয়ক হাদিসেরই অনুসরণ করে যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্তদের কাছে নিজ ব্যবস্থাপনায় যাকাত পৌঁছে দিতে হবে বলেই প্রতীয়মাণ হয়। যাকাতের কাপড় দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে দরিদ্র মানুষদের জড়ো করে যাকাত দেয়ার নির্দেশনা ইসলামের কোথাও নেই।

ইসলাম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সত্যিকার অর্থে ইসলাম যে সুফলের জন্য যাকাত ফরয করেছে তা পেতে হলে যাকাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী এর কয়েকটি দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

১. যাকাত আদায় করবে মুলতঃ রাষ্ট্র বা সরকার। দেশের সরকার সংসদে আইন পাস করে আয়কর আদায়ের মতো বাধ্যতামূলকভাবে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদের জন্য যাকাত বাধ্যতামূলক করে দেবে। সূরা তওবাতে আল্লাহ সেদিকে ইঙ্গিত করে বলেন- : خَذُ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تَطَهِّرُهُمْ وَتُزْكِّهِمْ
তাদের ধন-সম্পদ থেকে যাকাত আদায় করে তাদের পবত্রি এবং পরচ্ছিন্ন করে দাও। (সূরা তওবা, আয়াত ১০৩)

অন্যদিকে রাসূল (স.) বলছেনে- تؤخذ من أغنيائهم فترد إلى فقرائهم
তুমি তাদের ধনীদের থেকে যাকাত আদায় অত:পর তাদের গরীবদের মাঝে তা বিতরণ করবে। (বুখারি- ১৪০১)।

যাকাত সংগ্রহের পর সরকার যদি ১০/১৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগুতে থাকে তাহলে দারিদ্র্য বিমোচন বাংলাদেশের ধনীদের টাকা দিয়েই সম্ভব। বিদেশ নির্ভরতার প্রয়োজন হবে না।

২. যাকাত আদায়ের দ্বিতীয় যে দিকটি বাস্তবায়িত হওয়া উচিৎ তা হলো, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাকাত দিলেও একজন অভাবীকে এতটুকু পরিমাণ যাকাত দেয়া উচিৎ যাতে তার বর্তমান সমস্যার সমাধান হয়। একইসঙ্গে তিনি তার ভবিষ্যৎ চলার একটি পথ বের করতে পারবেন।

দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র থেকে তাকে বের হওয়ার মতো যাকাত দিতে হবে। যেমন: একজন বেকারকে একটি তরকারির দোকান অথবা চাইলে রিকশা কেনার মতো অর্থ দেয়া ইত্যাদি। প্রচলিত শাড়ি আর লুঙ্গি দেয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনতে হবে।

৩. যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে লোক দেখানো ও নির্বাচনী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসা। কারণ, লোক দেখানো ইবাদত হলো ‘রিয়া’। আর রিয়া ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। অতএব ইবাদত করতে গিয়ে যদি শিরক হয় তাহলে সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে।

৪. যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা উচিৎ সমাজের দারিদ্রপীড়িত ঐসব মানুষকে যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারে না। যাকাত সহায়তা পেয়ে একটি ছেলে/মেয়ে শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠলে তার আলোয় সমাজ আলোকিত হবে, আলোকিত হবে দেশ।

এ প্রসঙ্গে সুরা বাকারার ২৬৪নং আয়াতে এসেছে- আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন ও তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই যাকাত দিতে হবে। জনসমর্থন অর্জন, লোকদের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য কিংবা অন্য কোনো জাগতিক উদ্দেশ্যে যাকাত দেয়া হলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।

Post Comment

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

টাইগারদের ব্যাটিংয়ে এ হাল কেন?


বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগ পর্যন্ত অসাধারন ক্রিকেট খেলছে টিম টাইগার্সরা। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। কিন্তু কেন?

তামিম মুশফিকদের ব্যাট এখন আর হাসছে না কেন? ব্যাটিংয়ে আবার কি পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে ?  না সিলেকশনে ভুল করা হচ্ছে। এখন এমন প্রশ্ন ক্রিকেট প্রেমী সকল মহলে।

এনামুলকে একাদশের বাইরে রেখে লাভ কি হলো? লিটন কি প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছে?

না এ ছাড়া অন্য কোন কারণ আছে?

ক্রিকেটের অন্যতম পরামক্তি পাকিস্তানকে হোয়াইয়াশ ও ভারতকে সিরিজ হারানোর আনন্দে আত্নহারা ক্রিকেটাররা? যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোন খেলায় প্রতিধন্দ্বীতা পর্যন্ত করতে পারছে না কেন?

আজকের ম্যাচে ভাগ্যদেবীর সহায়তায় টসে জিতে ব্যাটিং নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। টানা বৃষ্টির কারণে দুদিন উইকেট ছিল ঢাকা। সূর্য্যরে আলো একটুও উইকেটে পড়েনি। সেই উইকেটে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়াটা খানিকটা বোকামি!

ধারাভাষ্যকক্ষে বসে প্রাক্তন ক্রিকেটার আতাহার আলী যেন সেই কথাটাই বললে,‘দুদিন ধরে যেই উইকেটে ঢাকা ছিল। কেউ দেখতে পারেনি। সেই উইকেটে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন। স্বাভাবিকভাবেই পেসাররা বাড়তি পেস ও বাউন্স পাবে।’

ফলাফল বাংলাদেশ ১৬০ রানেই অলআউট। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে মাত্র ২ উইকেট হারায়। ৮ উইকেটের জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে সহজেই ১-০ এ এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

আতাহারের কথা ভুল প্রমাণ করেননি দক্ষিণ আফ্রিকার অভিষিক্ত পেসার কাগিসো রাবাদা। প্রোটিয়াদের ১১৪তম ওয়ানডে ক্রিকেটার নিজের প্রথম স্পেলে তুলে নেন ৪ উইকেট, পরে নেন আরও ২টি। প্রথম স্পেলে ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক তুলে নেন রাবাদা। তামিম, লিটন ও মাহমুদউল্লাহর উইকেট নেন পরপর তিন বলে। এই পেসারের আগে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

রাবাদার গতিতে বাংলাদেশের রান যখন ৪ উইকেটে ৪০, সেখান থেকে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন। স্কোরকে ৯৩ পর্যন্ত টেনে নেন।  মুশফিক ২৪ রানে ডুমিনির বলে আউট হয়ে গেলে সাকিব ব্যাট চালিয়ে যান। অপরপ্রান্তে থাকা সাব্বির রহমানও ৫ রানে মুশফিকের পথ অনুসরণ করেন।

দলীয় ১২০ রানে সাকিব আল হাসান ইমরান তাহিরের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে বাংলাদেশের বড় স্কোরের সম্ভবনা কমে যায়। সাকিব দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ৫১ বলে। ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির মার।

শেষ দিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাসিরের ৩১ রানে ভর করে ১৬০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুর মত লেজটাও গুঁড়িয়ে দেন রাবাদা। দ্বিতীয় স্পেলে ২ উইকেট নিয়ে ওয়ানডের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডও তৈরী করেন ডানহাতি এই পেসার।  ৮ ওভারে ৩ মেডেনে মাত্র ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ শিবির একাই ধসিয়ে দেন অভিষিক্ত এই পেসার। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

স্কোরবোর্ডে ১৬০ রানের পুঁজি নিয়েও লড়াকু বাংলাদেশ! তিন নম্বরে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত করেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি। ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক হাশিম আমলাকে (১৪)।  শুরুতেই উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়েছিল সফরকারীরা। নিখুঁত বোলিংয়ের পাশাপাশি চোখ-ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ সমানতালে লড়াই করছিল। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিল না।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ফাফ ডু প্লিসিস ও কুইন্টন ডি কক। নাসির দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন ডি কককে ফিরিয়ে। ৪১ বলে ৩৫ রান করে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ডি কক।

সেখানেই শেষ বাংলাদেশের প্রতিরোধ। অভিজ্ঞ ফাফ ডু প্লিসিস মাথা ঠান্ডা রেখে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় তা যেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের শিখিয়ে দিলেন। উইকেটে থিতু মেরে থেকে বাজে বলগুলো শাসন করলেন মনের মত করে। আর ভালো বলগুলোকেও দিলেন প্রাপ্য সম্মান।

দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। নামের পাশে যোগ করেন ৬৩ রান। সঙ্গে ছিলেন রিলে রুশো। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। শতরানের জুটি বেধে মাঠ ছাড়েন এই দুই প্রোটিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের নায়ক কাগিসো রাবাদা।

এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে শেষ ম্যাচে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট-ওয়াশ হয় মাশরাফি এন্ড কোং। এরপর প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। এই বৃত্ত থেকে দ্রুত বের হয়ে আসাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটের নতুন পরাশক্তিদের।

একই মাঠে ১২ জুলাই দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।  দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা তাই দেখার বিষয়।

Post Comment

শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের জয়জয়কার

আরও একবার বাঘের গর্জন শুনল ক্রিকেট বিশ্ব। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফিদের এই গর্জনেই কুপোকাত ভারত। বৃহস্পতিবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৭৯ রানে হারিয়ে দোর্দন্ড প্রতাপে শুরু করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। সেই সঙ্গে সাকিব-মুশফিকরা আরেকবার প্রমাণ করল বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন ভয়ংকর এক শক্তিশালী দলেরই নাম।
বাংলাদেশ যে এখন ভয়ংকর এক ক্রিকেট দল, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও তা অকপটে স্বীকার করছে আজ। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোর অনীহাটা নিয়মিতই চোখে পড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বাংলাদেশের সাফল্যটাকে সবসময়েই ভিন্ন চোখে দেখার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোর পর মিরপুরের ওয়ানডে জয় যেন সব চিত্রনাট্যকেই বদলে দিল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাশরাফিদের দারুণ জয়ের পর ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ শিরোনাম দিয়েছে ‘ছোট্ট বাংলাদেশই এখন ভয়ংকর।’
এছাড়াও বেশ কিছু প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম ম্যাচের পর। যেখানে বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে তারা। হিন্দুস্থান টাইমস শিরোনামে লিখেছে, ‘এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।’
কলকাতার দৈনিক আজকাল শিরোনাম করেছে, ‘পদ্মাপারে উচ্ছ্বাসের সুনামি।’ দৈনিক এই সময় লিখেছে, ‘বাঙালি বাঘের থাবায় ক্ষতবিক্ষত ভারত।’
দৈনিক এবেলা মুস্তাফিজুরের প্রশংসা করে শিরোনাম দিয়েছে, ‘অভিষেকেই নায়ক।’ এনডিটিভি স্পোর্টস শিরোনাম করে, ‘ভারতকে রক্তাক্ত করলো বাংলাদেশ’

Post Comment

মধুর প্রতিশোধ

উন্মোচনঃ মাশরাফি বিন মুর্তজার উদযাপনটাই বলে দিচ্ছিল সব!
মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে রোহিত শর্মা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল চলে গেল মিড অফ। সহজ ক্যাচ মাশরাফির, দানবীয় উল্লাস! সেই উল্লাসের পিছনে নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছে গত ১৯ মার্চের স্মৃতি। মেলবোর্নে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেদিন বাংলাদেশের স্বপ্ন চুরি করেছিল এই ভারত, বাজে আম্পায়ারিংয়ের সুবাদে।
আর সেদিনের সেই বিতর্কিত ‘নো-বল’-এর সাথে জড়িয়ে আছে এই রোহিত শর্মার নাম। রুবেল হোসেনের বলে সেদিন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড নো না ডাকলে ইতিহাসটা হয়তো লেখা হতে পারতো ভিন্ন ভাবে।
এবার আর ‘জোর’ করে ইতিহাস বদলে দিতে পারেনি ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির ‘অখেলোয়াড়োচিত’ কনুইয়ের ধাক্কায় কুপোকাত হন নি মুস্তাফিজুর রহমান। সবিনয়ে দু:খিত বলে নিজেকে শাঁনিয়ে নিয়েছেন মাঠের লড়াইয়ের জন্য। দিন শেষে ৫০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে নায়ক হয়ে গেছেন ১৯ বছরের মুস্তাফিজ।
ম্যাচটা বাংলাদেশ জিতে গেল ৭৯ এর বড় ব্যবধানে। হয়ে গেল ইতিহাসে; বিশ্বকাপ-প্রতিশোধটা এর চেয়ে ভাল ভাবে খুব সম্ভবত নেয়া যেত না! দেশের মাটিতে এটা বাংলাদেশের টানা নবম জয়।
বাংলাদেশের দেয়া ৩০৮ রানের জবাবে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিটা মাশরাফিদের বুকে ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সেটা শেষ হয়ে যাওয়ার পেছনে ছিল একটা ‘জুয়া’। চার পেসার খেলানো দু:সাহস। আর তাতে বিনা উইকেটে ৯৫ রান থেকে ২০ রানের মধ্যে পড়লো ‘বিখ্যাত’ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের চারটি উইকেট।
১২৮ রানের মাথায় ভারতের ‘ম্যাচ উইনার’ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান।
বাকিটা সময় শুধু পেসারদের। আরও নির্দিষ্ট করে বললে অভিষিক্ত মুস্তাফিজুর রহমানের। ইতিহাসের মাত্র ১০ জন বোলার ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পাওয়ার কীর্তি গড়েন। আর মুস্তাফিজকে নিয়ে এই তালিকায় বাংলাদেশি দাঁড়ালো দু’জন।
ঠিক এক বছর দুই দিন আগে এই ভারতের বিপক্ষে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। সেটাই অভিষেক ম্যাচে কোন বাংলাদেশি বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। মুস্তাফিজ তাসকিনকে পারফরম্যান্সের দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও দলকে জয় তো এনে দিলেন। এদিক দিয়ে অন্তত তাসকিনকে ছাড়িয়ে গেলেন মুস্তাফিজ!
এর আগে টস ভাগ্যে জিতেছিলেন মাশরাফিই। সর্বশেষ যে ১২ ম্যাচে টসে জিতেছিলেন তার মধ্যে আটটিতেই প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন, তার সবগুলোতেই ম্যাচ জিতেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১৩ ওভার চার বলে চলে এসেছিল ১০২ রান। এরপরই ছোট্ট একটা ধস ১৪৬ রান হতে না হতেই চলে গেল বাংলাদেশের চারটি উইকেট।
এরপর হাল ধরলেন সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান রুম্মান। তাদের ৮৩ রানের জুটিতে শেষ অবধি বড় স্কোর গড়ার স্বপ্নটা সত্যি হয় বাংলাদেশের। তবে, লোয়ার মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডাররা সেই ধারাবাহীকতা ধরে রাখতে পারেননি।
শেষ অবধি দুই বল বাকি থাকতে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ৩০৭ রান করে। যদিও এটাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
এর আগে পাঁচ বছর আগে এই ঢাকাতেই ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ২৯৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেদিক থেকে ভারতের বিপক্ষে এবারই প্রথমবারের মত ৩০০-এর বেশি রান করলো বাংলাদেশ। আর নবম বার ওয়ানডেতে কোন দলের বিপক্ষে ৩০০ রানের বেশি করলো বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ ৬২ বলে ৬০ রান আসে ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। এছাড়া সৌম্য ৫৪ ও সাকিব ৫২ রান করেন। সাব্বিরের ৪১ কিংবা অধিনায়ক মাশরাফির ১৮ বলে ২১ রানকেও মনে রাখতে হবে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর দুটি করে উইকেট নেন ভূবনেশ্বর কুমার ও উমেশ যাদব।
আর বাকিটা সময় ইতিহাস। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন উমেশ যাদব; মাশরাফি-তাসকিনে চিরচেনা সেই ‘ম্যাশকিন’ উদযাপন!
এই তো সেই বাঁধিয়ে রাখার মত এক জয়, মনে রাখার মত এক জয়। আজ বাতাশে প্রতিশোধের গন্ধ; মধুর প্রতিশোধ!
সুত্রঃ প্রিয় 

Post Comment

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

 টেস্ট শেষ হওয়ার একদিন আগেই ঘোষণা করা হয়ে গেল ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের জন্য বাংলাদেশ দল। আর ১৮ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এই সিরিজের জন্য বড় একটা চমকই দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচকরা।
সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন মুস্তাফিজুর রহমান। গত এপ্রিলে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। ডট বলই ছিল ১৬টা! একটিও চার হজম করতে হয়নি তাকে।
ইনজুরি কাটিয়ে সুযোগ পাননি এনামুল হক বিজয়। এছাড়া আছেন ফতুল্লা টেস্টে অভিষিক্ত ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস। সুযোগ পাচ্ছেন রনি তালুকদার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে থাকা আবুল হোসেন রাজু বাদ পড়েছেন।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, আরাফাত সানি, মুমিনুল হক সৌরভ, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), নাসির হোসেন, রনি তালুকদার, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান রুম্মান, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

Post Comment

৪০টি ছবি জানিয়ে দেবে "দুবাই" পৃথিবীর সবচাইতে বিচিত্র ও ধনী মানুষদের শহর (পর্ব ১)

টাকা নয়, এই মেশিন দিয়ে বের হয় সোনা!
আকাশে টেনিস খেলার ব্যবস্থা!
ট্র্যাফিক জ্যামের প্রতিটি গাড়িই বিলাস বহুল, যা আমাদের দেশে কালে ভদ্রে চোখে পড়ে
পোষা সিংহের পিঠে!
এয়ারপোর্টে অবহেলায় পড়ে আছে এত দামী গাড়ি!
হেলিকপটার করে নেয়া হচ্ছে গাড়িকে
পারকিং লটে গাড়ির পাশে উটও "পার্ক" করে রাখা!
মালিকের গাড়িতে পোষা সিংহ
এই বিলাস বহুল গাড়ি ব্যবহার করেন দুবাই পুলিশেরা!
না, ফ্ল্যাট নয়। বাথরুম!
আর এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো দুবাই ফায়ার সার্ভিসের
পোষা চিতা বাঘ নিয়ে বেড়াতে যাওয়া হচ্ছে
যে দেশে সোনার কোন মূল্যই নেই!
পৃথিবীর সবচাইতে বড় শপিং মল!
১২০০ ডলারেরও বেশী মূল্যের এই কাপকেকটি পৃথিবীর সবচাইতে দামী কেক। খাওয়ার যোগ্য সোনায় তৈরি!
পোষা সিংহীর সাথে খেলাধুলা!
পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের বাগান, মরুভুমির বুকে!
সোনায় তৈরি এস ইউ ভি!
এই সমস্তই হচ্ছে সাগরের বুকে তৈরি কৃত্রিম দ্বীপ!
সোনায় মোড়ানো মোবাইল ফোন
সত্যি কথা বলতে কি, দুবাই কতটা বিচিত্র একটা শহর সেটা ভাষায় বুঝিয়ে বলা খুবই কঠিন। দুবাইয়ের জনগণের যা আছে, সেটা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। আর এই টাকা প্রদর্শনকরতে মোটেও কার্পণ্য করে না তাঁরা। আমাদের কাছে যেগুলো অসম্ভব, তাঁদের কাছে সেগুলোই নিত্য দিনের ব্যাপার। ATM মেশিন থেকে যদি টাকার বদলে সোনা বের হয়, খটখটে মরুভূমির মাঝে যদি থাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় ফুলের বাগান, আকাশে যদি হয় টেনিস খেলার ব্যবস্থা, সোনা দিয়ে যদি তৈরি করা হয় গাড়ি ও মোবাইল ফোন, কিংবা বাঘ-শিংহের মত ভয়ানক প্রানীকে যদি পোষা হয় বেড়ালের মত- সেগুলো দেখতে কেমন লাগবে আপনার? দেখে নিন দুবাইয়ের চোখ ধাঁধানো এমন কিছু ছবি, যেগুলো আপনাকে রীতিমত ধাঁধায় ফেলে দেবে। হলফ করে বলা যায়, এই ছবিগুলো আপনি আগে কখনোই দেখেন নি!
প্রতিটি ছবির সাথে আছে বিবরণ। ছবিগুলো বড় আকারে দেখতে ও বিবরণ পড়তে ক্লিক করুন প্রতিটি ছবিতে। আজকের পড়বে রইলো ২০ টি ছবি। আগামী পড়বে পাবেন আরও ২০টি ছবি
সুত্রঃ প্রিয় ডট কম 

Post Comment

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫

সানি লিওনের অতীত জীবনের দুটি "অন্যরকম" ছবি

 যে সাবেক পর্ণ তারকাকে পুরো পৃথিবী সানি লিওন নামে চেনে, তাঁর আসল নামটি হচ্ছে "করণজিৎ কউর ভোহরা"। অনেকেই এটা জানেন না যে জন্মসূত্রে সানি লিওন ভারতীয় পাঞ্জাবী, যদিও জন্ম ভারতের বাইরে। অসংখ্য পর্ণ ছবির জন্য বিতর্কিত এই তারকা ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা ১০ পর্ণতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে এবং বলিউডের সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন ২০১২ সালে। পূজা ভাটের বিতর্কিত সিনেমা "জিসম ২" দিয়ে ঘটে রূপালি পর্দায় সানি লিওনের অভিষেক।
আজকের এই যে ঝলমলে পর্ণ তারকা সানি লিওন, কেমন ছিলেন তিনি তাঁর ছোট বেলায়?
সানি লিওন নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেছিলেন নিজের ছেলেবেলার একটি ভারি মিষ্টি ছবি। এদিকে উইকিপিডিয়া ঘাঁটলেই সানির কৈশোর-তারুণ্য নিয়ে পাওয়া যাবে নানান বিতর্কিত গল্প। কেমন ছিলেন সানি নিজের সেই উঠতি বয়সে? দেখুন সানি লিওনের অতীত জীবনের এমন দুটি ছবি, যা নিঃসন্দেহে আপনাকে বিস্মিত করবে। কে ভেবেছিল যে এই মিষ্টি মেয়েটি বড় হয়ে একদিন পর্ণ তারকা হবে!


















সূত্র: এমটিভি ইন্ডিয়া

Post Comment

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পড়লেন ফেমিনিস্ট আইকন মুকুট

হলিউডি অভিনেত্রী ও নির্মাতা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি নিজের জীবনে তিনি যেভাবে নারীত্ব উপভোগ করেন,তাতে অনুপ্রাণিত হয় নারীশক্তি। ক্যান্সার হতে পারে এ কারনে স্তন ও জরায়ু কেটে ফেলেছেন তবুও তিনি নারীত্বের মহিমায় উজ্জ্বল। তিনি বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন নারী শুধু শরীরে নয়! নারী মেধা, হৃদয়, মস্তিষ্কে অনন্য। তাই শ্রেষ্ঠ ফেমিনিস্টের আইকন মুকুট শেষ পর্যন্ত উঠলো তার মাথাতেই।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে তার প্রচারণার জন্যই মূলত এই খেতাব জিতেছেন তিনি। তিনিই যে ফেমিনিস্ট আইকন হবেন, তা প্রত্যাশিত ছিল। সাধারণ মানুষের ভোটও প্রমাণ করলো সে কথা। ‘রোজ অ্যান্ড উইলার্ড’ নামের এক প্রতিষ্ঠানের জরিপের ফলেই অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এই সম্মান পেয়েছেন। এ জরিপের তত্ত্বাবধায়ক ফেমিনিস্ট ফ্যাশন হাউজের প্রতিষ্ঠাতা হেইডি রেহমান বলেন, ‘আমরা নারীর ক্ষমতা এবং তাদের নারীত্বটাকে বিশেষভাবে তুলে ধরার বিষয়টি বিবেচনা করেছি এবং ধর্ষনের বিরুদ্ধে প্রচারণাকে যেভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন জোলি, তাতে এই সম্মাননা তার প্রাপ্য। জোলি সে কাজটি ভালোভাবেই করেছেন।’
ফেমিনিস্ট আইকন হিসেবে দ্বিতায় স্থানে থাকা এমা ওয়াটসনের ক্যাম্পেনের নাম ‘হি ফর শি’। নারী পুরুষকে পাশাপাশি রাখার এমন প্রয়াস স্বীকৃতি পেল। এছাড়াও সেরা ফেমিনিস্টের তালিকায় ছিলেন টেইলর সুইফট, বিয়ন্সে নোয়েলস, প্যাট্রিসিয়া আর্কেট প্রমুখ।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

Post Comment

সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫

শিখে নিন তেজপাতা দিয়ে দাঁত ঝকঝকে সাদা করার কৌশল!

দাঁতকে ঝকঝকে সুন্দর করার জন্য কত কিছুই না করেন আপনি। দামী টুথপেস্ট থেকে শুরু করে ডেন্টিস্টের কাছে দামী ট্রিটমেন্ট, সবই কেবল হলদে দাঁতগুলোকে সাদা করার জন্য। না, আজ থেকে আর কিছুই করতে হবে না, সাধারণ তেজপাতা দিয়েই প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর করে নিতে পারবেন আপনি আপনার দাঁতগুলো? কীভাবে? চলুন, জেনে নিন দাঁত সুন্দর করতে তেজপাতা ব্যবহারের প্রণালি।
দাঁত সাদা করতে তেজপাতা দারুণ উপকারী, তবে এই তেজপাতাকে মেশাতে হবে কোন টক ফলের সাথে। যেমন ধরুন কমলা বা লেবুর খোসা।

যা যা লাগবে

তেজপাতা ৪টি (কাঁচা বা শুকনো সব রকমেই হবে)
কমলা ও লেবুর খোসা (তেজপাতার সম পরিমাণ)
মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা বা মাড়িতে ব্যথা থাকলে লবঙ্গ ২/৩ টি

প্রণালি

  • -তেজপাতা বেটে নিন বা মিহি গুঁড়ো করে নিন।
  • -কমলা বা লেবুর খোসা শুকিয়ে লবঙ্গের সাথে মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
  • -সব উপকরণ সামান্য লবণ সহযোগে একত্রে মিশিয়ে নিন।
  • -ফলের খোসা শুকিয়ে নেয়া জরুরী। কাঁচা অবস্থায় দাঁতের ক্ষতি করবে।

ব্যবহার বিধি

এই গুঁড়োটি সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন দাঁত মাজুন। রোজ মাজার প্রয়োজন নেই, এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের হলদে ভাবের ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
সূত্র-
Herbs to whiten your teeth naturally
stethnews.com

Post Comment