রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন? ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী


ব্লগার নিলয় নীল-এর (নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়) গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। নিলয়ের আত্মীয় স্বজনরা তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। এমন কি তারা আশা মনির ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন। তার ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী।

শনিবার সকলের নিলয়ের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকাবাসীরা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের কাছে নিলয় ছিল হারাধনের একটি মানিকের মতো। মেধাবী শান্ত স্বভাবের এ ছেলেটি এলাকার মানুষের কাছেও ছিল প্রিয়।

নিলয়ের একমাত্র বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই বোন একে অপরের বন্ধু ছিলাম, আমার ভাই কখনও বলেনি সে বিয়ে করেছে। স্ত্রী হিসেবে যাকে আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন তার বয়স আমার ভাইয়ের থেকে অনেক বেশি। কী করে আমার ২৭ বছর বয়সী ভাইয়ের স্ত্রী হলো।’ 

নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না নিলয় বিবাহিত ছিল। সে যদি বিবাহিত স্ত্রী হতো তার গায়ে কোনো আঁচড় লাগলো না। একটু রক্তের দাগ লাগলো না! এটা কি করে হয়? পুলিশ যখন ওর লাশ ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তখনও তো ওই মহিলা কাছে যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ খুনের সাথে ওই মহিলা জড়িত থাকতে পারে। নিলয়ের হত্যার আগে পরে আমাদের ফোনও তো দিতে পারতো।’ নিলয়ের ছোট কাকি শ্যামা দত্ত প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘আমাদের ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারেনি, আমাদের ছেলের অভিযোগও নেয়নি, তাদের বলেন, ওই মহিলাকে (আশা মনি) গ্রেপ্তার করতে। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে আমরা তো আর ফিরে পাবো না। সরকারের কাছে দাবি ন্যায় বিচারটুকু যেন আমরা পাই।’ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কখন কোথায় কীভাবে সৎকার করা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে তারা কিছু বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মরদেহ পৌঁছানোর পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুনুন নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তীর বক্তব্য।ব্লগার নিলয় নীল-এর (নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায়) গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। নিলয়ের আত্মীয় স্বজনরা তার স্ত্রী আশা মনিকে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। এমন কি তারা আশা মনির ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেন নিলয়ের স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবারে প্র্রশ্ন। তার ব্যাখ্যা করলেন নিলয়ের মাসী।

শনিবার সকলের নিলয়ের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে ভিড় করেছেন এলাকাবাসীরা। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের কাছে নিলয় ছিল হারাধনের একটি মানিকের মতো। মেধাবী শান্ত স্বভাবের এ ছেলেটি এলাকার মানুষের কাছেও ছিল প্রিয়।

নিলয়ের একমাত্র বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই বোন একে অপরের বন্ধু ছিলাম, আমার ভাই কখনও বলেনি সে বিয়ে করেছে। স্ত্রী হিসেবে যাকে আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন তার বয়স আমার ভাইয়ের থেকে অনেক বেশি। কী করে আমার ২৭ বছর বয়সী ভাইয়ের স্ত্রী হলো।’ 

নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না নিলয় বিবাহিত ছিল। সে যদি বিবাহিত স্ত্রী হতো তার গায়ে কোনো আঁচড় লাগলো না। একটু রক্তের দাগ লাগলো না! এটা কি করে হয়? পুলিশ যখন ওর লাশ ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তখনও তো ওই মহিলা কাছে যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ খুনের সাথে ওই মহিলা জড়িত থাকতে পারে। নিলয়ের হত্যার আগে পরে আমাদের ফোনও তো দিতে পারতো।’ নিলয়ের ছোট কাকি শ্যামা দত্ত প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘আমাদের ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। পরিকল্পিতভাবেই আমাদের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারেনি, আমাদের ছেলের অভিযোগও নেয়নি, তাদের বলেন, ওই মহিলাকে (আশা মনি) গ্রেপ্তার করতে। পরিবারের একমাত্র ছেলেকে আমরা তো আর ফিরে পাবো না। সরকারের কাছে দাবি ন্যায় বিচারটুকু যেন আমরা পাই।’ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কখন কোথায় কীভাবে সৎকার করা হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে তারা কিছু বলতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মরদেহ পৌঁছানোর পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুনুন নিলয়ের মাসি সাথী চক্রবর্তীর বক্তব্য। 
দেখুন নিলয়ের মাসীর ব্যাখ্যা

Post Comment

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫

ব্লগার নিলয়ের বিয়ের খবর জানে না পরিবার, স্ত্রী শালিকা অস্বীকার


ব্লগার নিলয় নীল আটমাস আগে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঈদের এক সপ্তাহ পর বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। তাকে ঢাকায় ফিরতে নিষেধ করেছিলেন তার মা। কিন্তু বিসিএসের প্রস্তুতির কথা বলে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। আর তার বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা দাবি করেন,‘নিলয় বিয়ে করেছে এই খবর আমরা জানিনা’।

জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘বলা হচ্ছে আমার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তার শ্যালিকা আছে। কিন্তু এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমরা জানি আমার ভাই এখন পর্যন্ত বিয়েই করেনি।’ সংবাদ মাধ্যমের খবরকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন,‘ আমার ভাই বিয়ে করলে আমরা জানবনা?’

তবে রাজধানীর গোড়ানের বাসায় নিলয় স্ত্রী সহ থাকতেন। হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে যে মামলা হয়েছে তার বাদী আশামনি। তিনি নিলয়ের স্ত্রী হিসেবে মামলাটি করেছেন। আশামনির বাবার নাম শামসুদ্দিন। মামলার এজাহারে নিলয় নীলের নাম লেখা হয়েছে নীলাদ্রি চ্যাটার্জি। বাবার নাম তারাপদ চ্যাটিার্জি।

নিলয়ের গ্রামের বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে। তার মা অপর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো দিন কারো কোনো ক্ষতি করে নাই। আমার এমন নিরপরাধ ছেলেকে এভাবে হত্যা করল কারা?’ ছেলে হারানোর শোকে বিহ্বল মা বিলাপ করতে করতে একটু পরপরই মূর্ছা যাচ্ছিলেন। আর বলছিলেন,‘‘আমার এখন কী হবে? তোমরা আমাকে একটু বিষ এনে দাও। ওরে ঢাকায় ফিরে যেতে বারণ করেছিলাম। বলেছিলাম, বাড়িতে বসে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে।’
বাবা তারাপদ চট্টোপাধ্যায় শোকে যেন নির্বাক হয়ে গেছেন।

নিলয় চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তেজদাসকাঠি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যামিক পাস করেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বাবা সাধারণ গৃহস্থ হলেও বাড়ির আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই শিক্ষক-আইনসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এলাকাবাসী জানান, নীলাদ্রি সবার কাছেই খুব ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল।

নিলয়ের বোন জয়শ্রী চট্টোপাধ্যায় গোপা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের এলাকায় কোনো শত্রু ছিল না। সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ আট মাস পরে সে বাড়ি আসে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো তা আমরা জানি না। আমরা চাই, সরকার এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করুক। না হলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে না।
দেখুন ভিডিওতে

Post Comment